রবিবার, জানুয়ারী ৩১, ২০১০

শাসনব্যবস্থা দেশে দেশে

ভাষা, বর্ণ, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ভৌগোলিক স্বাতন্ত্রের ভিত্তিতে পৃথিবী বিভক্ত কয়েকটি মহাদেশে আর একই কারণে মহাদেশগুলো বিভক্ত অনেকগুলো দেশে শুধু তাই নয় এসব স্বাতন্ত্রের ভিত্তিতে তৈরি হওয়া নিজস্ব চাহিদা এবং জন আকাংখা পূরণ করতেই প্রতিটি দেশের শাসনব্যবস্থা গড়ে উঠেছে ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট্যে কোন দেশের শাসনব্যবস্থার সাথে অপর একটি দেশের শাসন ব্যবস্থার হুবহু মিল খুঁজে পাওয়া যায় না পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্রের শাসন ব্যবস্থার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি তুলে ধরেছেন শাহ মুহাম্মদ মোশাহিদ

বাংলাদেশ: রাষ্ট্রীয় নাম গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ। এখানকার সরকারব্যবস্থা সংসদীয় গণতান্ত্রিক। তথা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রীপরিষদ শাসিত সরকার। এক কক্ষ বিশিষ্ট সংসদে আসন সংখ্যা ৩৪৫। এদের মাঝে ৩০০ জন সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হন এবং বাকি ৪৫ টি আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত থাকে। বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নাম শেখ হাসিনা। তিনি ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

ভারত: রাষ্ট্রীয় নাম প্রজাতন্ত্রী ভারত। দেশটি গণতান্ত্রিক সংসদীয় পদ্ধতিতে পরিচালিত হয়। এর সরকার প্রধান প্রধানমন্ত্রী এবং সরকারের মেয়াদ ৫ বছর। ভারতের সংসদ দুইকক্ষবিশিষ্ট। লোকসভা নামক নিম্নক ও রাজ্যসভা নামক উচ্চক নিয়ে ভারতের সংসদ গঠিত। রাজ্য সভা হলো ভারতের সংসদের উচ্চ পরিষদ। এর সদস্য সংখ্যা ২৫০ জন, যার মধ্যে ১২ জনকে ভারতের রাষ্ট্রপতি মনোনয়ন দেন। এই ১২ জন শিল্প, সাহিত্য, বিজ্ঞান, সমাজসেবাসহ তাঁদের নিজস্ব পেশাগত েেত্র বিশেষজ্ঞ হয়ে থাকেন। রাজ্য সভার বাকী সদস্যগণ প্রাদেশিক পরিষদ কর্তৃক নির্বাচিত হন। রাজ্য সভার মেয়াদ ৬ বছর। লোকসভা ভারতীয় সংসদের নিম্নক। এই করে প্রতিনিধিদের সর্বোচ্চ সংখ্যা ৫৫২ যারা প্রত্যভাবে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হন। ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। তিনি ২০০৪ সালের মে মাসে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে আবার দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন।

পাকিস্তান: দেশটির রাষ্ট্রীয় নাম ইসলামী প্রজাতন্ত্রী পাকিস্তান। এর সরকার সংসদীয় পদ্ধতিতে পরিচালিত হয়। দুই কক্ষবিশিষ্ট পাকিস্তানের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ হলো সিনেট এবং নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল এসেম্বলি। সিনেটের সদস্য সংখ্যা ১০০। এদের মাঝে ১৮ জন মহিলা। সিনেটের সদস্যরা প্রাদেশিক পরিষদ কর্তৃক নির্বাচিত হন। পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল এসেম্বলির সদস্য সংখ্যা ৩৪২ জন। এদের মাঝে ২৭২ জন সরাসরি নির্বাচিত হন। ৬০ টি মহিলাদের এবং ১০টি সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষিত থাকে। পাকিস্তানের বর্তমান প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি। তিনি ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানী। তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন ২০০৮ সালের ২৫ মার্চ।

মালয়েশিয়া: দেশটির রাষ্ট্রীয় নাম প্রজাতন্ত্রী মালয়েশিয়া। নিয়মতান্ত্রিক রাজতন্ত্রের এ রাষ্ট্র সংসদীয় সরকার পদ্ধতিতে পরিচালিত হয়। দ্বীকক্ষীয় সংসদের নিম্ন কক্ষ দিওয়ান রাকেয়াত যা প্রতিনিধি সভা এবং উচ্চ কক্ষ দিওয়ান নেগারা যা সিনেট। সিনেটের সদস্য থাকেন ৭০ জন। প্রতি প্রদেশ থেকে দুইজন করে মোট সদস্য নির্বাচিত হয়ে আসেন ২৬ জন। আর বাকী ৪৪ জনকে রাজা নিয়োগ দেন। এ কারণেই রাজাকে বলা হয় সংসদের তৃতীয় অংশ। সেখানে রাজাকে বলা হয় ইয়াং ডি-পারচুয়ান এগঙ্গ। বর্তমান রাজার নাম মিজান জয়নাল আবেদিন। মালয়েশিয়ায় ৫ বছরের জন্য সরকার গঠন করেন প্রধানমন্ত্রী। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নাম নাজিব রাজাক। তিনি ২০০৯ সালের এপ্রিল মাসে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

চীন: রাষ্ট্রীয় নাম গণপ্রজাতন্ত্রী চীন। এটি একটি সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র। সংসদীয় সরকার পদ্ধতির এ রাষ্ট্রের সরকার প্রধান প্রেসিডেন্ট। চীনের পার্লামেন্ট হলো ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস। এর সদস্যসংখ্যা ৩০০০ জন। এরা বেশ কয়েকটি স্তর পেরিয়ে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হন। একেবারে গ্রামীণ পর্যায় থেকে প্রতিনিধি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ধীরে ধীরে উপরের স্তরের প্রতিনিধি নির্বাচন সম্পন্ন করা হয়। ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস এর প্রতিনিধিরা প্রোভিন্সিয়াল পিপলস এসেম্বলি বা প্রাদেশিক পরিষদের মাধ্যমে নির্বাচিত হন। চীনে প্রতি আসনের বিপরীতে প্রার্থীর সংখ্যা থাকে সীমাবদ্ধ। যেমন জাতীয় পর্যায়ে ১০০ আসনের জন্য সর্বোচ্চ ১১০ জন প্রার্থী থাকতে পারবে। প্রাদেশিক পর্যায়ে ১০০ আসনের জন্য প্রার্থী থাকতে পারবে ১২০ জন। এভাবে নিম্নস্তরের দিকে প্রার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধির হার বাড়তে থাকে। তবে সবচেয়ে নিম্নস্তর গ্রামীণ প্রতিনিধি নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রার্থীর সংখ্যার কোন সীমাবদ্ধতা নেই। চীনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট হু জিন্তাও। তিনি ২০০৩ সালের মার্চে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

জাপান: রাষ্ট্রীয় নাম জাপান। নিয়মতান্ত্রিক রাজতন্ত্রের এ দেশটির সরকার পরিচালিত হয় সংসদীয় পদ্ধতিতে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সরকার গঠিত হয় ৪ বছরের জন্য। জাপানের সংসদ ন্যাশনাল ডিয়েট অব জাপান দুই কক্ষবিশিষ্ট। এর নিম্নকক্ষ হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ এবং উচ্চ কক্ষ হলো হাউজ অব কাউন্সিলর। হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ এর সদস্য সংখ্যা ৪৮০ জন এবং হাউজ অব কাউন্সিল এর সদস্য সংখ্যা ২৪২ জন। সংসদের দুই কক্ষের জন্যই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় মিশ্র পদ্ধতিতে। জাপানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইউকিও হাতোয়ামা। তিনি ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নির্বাচিত হন।

ইরান: রাষ্ট্রীয় নাম ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান। এ রাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসিত সংসদীয় সরকার পদ্ধতি বিদ্যমান। তবে যে কোন বিষয়ের সিদ্ধান্ত অনুমোদনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ক্ষমতা অভিবাবক পরিষদের কাছে। অভিবাবক পরিষদের অনুমোদন ছাড়া সংসদে গৃহীত সিদ্ধান্তের কোন আইনী বৈধতা নেই। ইরানে সংসদকে বলা হয় মজলিস। মজলিসের সদস্য সংখ্যা সীমিত ছিলো ২৭০ এর মধ্যে। কিন্তু ২০০০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে এর সংখ্যা ২০টি বৃদ্ধি করে ২৯০ করা হয়। সংসদ সদস্যগণ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হন ৪ বছরের জন্য। ২০০৫ সালের আগস্ট থেকে ইরানের প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন মাহমুদ আহমেদিনেজাদ।

ফ্রান্স: রাষ্ট্রীয় নাম রিপাবলিক অব ফ্র্যান্স। রাষ্ট্রপতি শাসিত গণতান্ত্রিক শাসন পদ্ধতির এই রাষ্ট্রে দুই কক্ষবিশিষ্ট সংসদ। নিম্ন কক্ষ ফ্র্যান্স ন্যাশনাল এ্যাসেম্বলির সদস্য সংখ্যা ৫৭৭ জন। এরা বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকা থেকে আসা নির্বাচিত প্রতিনিধি। সংসদের উচ্চ কক্ষের নাম ফ্র্যান্স সিনেট। ২০০৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিনেটরের সংখ্যা ছিলো ৩২১ এবং এরা নির্বাচিত হতেন ৯ বছরের জন্য। কিন্তু বর্তমানে সিনেটরদের মেয়াদকাল ৯ বছর থেকে কমিয়ে ৬ বছরে আনা হয়েছে এবং সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে ৩৪৬ করা হয়েছে। ২০০৭ সাল থেকে ৫ বছরের জন্য রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করছেন নিকোলাস সারকুজি।

জার্মানি: রাষ্ট্রীয় নাম ফেডারেল রিপাবলিক অব জার্মানি। গণতান্ত্রিক সংসদীয় পদ্ধতিতে পরিচালিত এই রাষ্ট্রের সরকার প্রধান চ্যান্সেলর। জার্মানির সংসদের নাম বুন্ডেস্টেজ। বুন্ডেস্টেজ এর আসন সংখ্যা পরিবর্তনশীল। সর্বশেষ ১৭তম বুন্ডেস্টেজ এ আসন ছিলো ৬২২টি। জার্মানিতে একজন ভোটারের ভোট থাকে ২টি। প্রথম ভোটের মাধ্যমে তারা বুন্ডেস্টেজ এ পাঠানোর জন্য একজন স্থানীয় প্রতিনিধি নির্বাচন করে। আর দ্বিতীয় ভোটের মাধ্যমে রাষ্ট্র শাসন করার জন্য একটি দল নির্বাচন করে। জার্মানির বর্তমান চ্যান্সেলরের নাম অ্যাঞ্জেলা মারকেল। ২০০৫ সালে তিনি প্রথমবারের মতো চ্যান্সেলরের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। পরবর্তীতে আবার পূননির্বাচিত হয়ে ৪ বছরের জন্য চ্যান্সেলরের দায়িত্ব গ্রহণ করেন ২০০৯ সালে।

ইতালি: রাষ্ট্রীয় নাম ইতালিয়ান রিপাবলিক। দেশটির শাসনপদ্ধতি সংসদীয় গণতান্ত্রিক। ইতালিয়ান পার্লামেন্ট দুই কক্ষবিশিষ্ট। এর নির্বাচিত সদস্য সংখ্যা ৯৪৫ জন। সংসদের নিম্ন কক্ষ চেম্বার অব ডেপুটি’র সদস্য সংখ্যা ৬৩০ জন এবং উচ্চ কক্ষ সিনেট অব দ্যা রিপাবলিক এর সদস্য সংখ্যা ৩১৫ জন। ২০০৬ সালের মে থেকে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন জিউরজিও নেপোলিটানো এবং ২০০৮ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে আসছেন সিলভিও বারলুসকোনি। ইতালিতে সরকারের মেয়াদ ৭ বছর।

রাশিয়া: রাষ্ট্রীয় নাম রুশ ফেডারেশন। রাষ্ট্রের প্রধান প্রেসিডেন্ট। তবে নির্বাহী ক্ষমতা প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী উভয়েরই রয়েছে। রাশিয়ার দুই কক্ষবিশিষ্ট সংসদের নাম ফেডারেল এসেম্বলী অব রাশিয়া। এর নিম্ন কক্ষ স্টেট ডুমা এবং উচ্চ কক্ষ হলো ফেডারেশন কাউন্সিল। স্টেট ডুমার সদস্য সংখ্যা ৪৫০ জন। এরা পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হন। আর ফেডারেশন কাউন্সিলের সদস্য সংখ্যা ১৭৮ জন। কিন্তু এরা নির্বাচিত নন। রাশিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ এবং প্রধানমন্ত্রী ভøাদিমির পুতিন।

স্পেন: নিয়মতান্ত্রিক রাজতন্ত্রের এই রাষ্ট্র সংসদীয় সরকার পদ্ধতিতে পরিচালিত হয়। এর সরকার প্রধান প্রধানমন্ত্রী। স্পেন এর সংসদ দুই কক্ষ বিশিষ্ট। নিম্নকক্ষ কংগ্রেস অব ডেপুটির সদস্য ৩৫০ জন। আর উচ্চ কক্ষ স্পেনিশ সিনেট এর সদস্য সংখ্যা ২৬৪। এদের মাঝে ২০৮ জন সরাসরি জনগণের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত এবং বাকী ৫৬ জনকে নিয়োগ দেন আঞ্চলিক আইনপ্রণেতাগণ। উভয়কক্ষের সদস্যদের মেয়াদ ৪ বছর। স্পেনের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জসি লুইস রডরিগুইজ জাপাটেরো। তিনি ২০০৪ সালে প্রথমবার এবং ২০০৮ সালে দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হন।

যুক্তরাজ্য: ইউনাইটেড কিংডম অব গ্রেট ব্রিটেন অ্যান্ড নর্থ আয়ারল্যান্ড। সংসদীয় সরকারব্যবস্থার সূতিকাগার হচ্ছে সাংবিধানিক রাজতন্ত্রের এই রাষ্ট্র। যুক্তরাজ্যের সংসদ দ্বীকক্ষীয়। নিম্ন কক্ষ হাউজ অব কমন এর ৬৪৬ জন সদস্য নির্বাচনিএলাকা থেকে নির্বাচিত হয়ে আসেন। তাদেরকে বলা হয এমপি বা সংসদ সদস্য। আর সংসদের উচ্চ কক্ষ হলো হাউজ অব লর্ডস। এর বর্তমান সদস্য সংখ্যা নিম্ন কক্ষ থেকে ৭৮ জন বেশি অর্থাৎ ৭২৪ জন। যুক্তরাজ্যে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সরকার গঠিত হয় ৫ বছরের জন্য। তবে সাধারণত সরকার ৫ বছর ক্ষমতা ভোগের আগেই নির্বাচন দিয়ে দেয়। ১৯৫২ সাল থেকে এলিজাবেথ-২ যুক্তরাজ্যের রাণীর সিংহাসনে রয়েছেন। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন গর্ডন ব্রাউন। তিনি ২০০৭ সালে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন।

যুক্তরাষ্ট্র: রাষ্ট্রীয় নাম ইউনাইটেড স্টেটস অব আমেরিকা। কেন্দ্রীয় প্রজাতান্ত্রিক শাসানব্যবস্থার এ রাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসিত গণতান্ত্রিক সরকার পদ্ধতি বিদ্যমান। যুক্তরাষ্ট্রকে বলা হয় রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থার সূতিকাগার। দেশটির কংগ্রেস দুই কক্ষবিশিষ্ট। জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে সিনেটের ১০০ সদস্য এবং প্রতিনিধি পরিষদের ৪৩৫ সদস্য নির্বাচিত হন। নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ দুই বছর মেয়াদি। তারা এককেটি জেলার প্রতিনিধিত্ব করেন। উচ্চকক্ষ সিনেটের সদস্যরা ৬ বছরের জন্য নির্বাচিত হন। প্রতি দুই বছর অন্তর সিনেটের এক-তৃতীয়াংশের নির্বাচন হয়। প্রতিটি অঙ্গরাজ্যের দুজন করে সিনেটর থাকেন। আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় কংগ্রেসের উচ্চ ও নিম্নকক্ষ সমান ভ’মিকা পালন করে। প্রতিনিধি পরিষদ জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকে। সিনেটরদের প্রভাব প্রতিপত্তি অনেক বেশি থাকে এবং তারা তাদের রাজ্যের সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হন। সিনেটররাই পরে প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও রাজ্য গভর্নর হয়ে থাকেন। যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ৪ বছরের জন্য। কোন ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুই মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হতে পারেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ২ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয় ইলেক্টরাল কলেজের মাধ্যমে। ইলেক্টরাল কলেজের ভোটের সংখ্যা সর্বমোট ৫৩৮টি। কোনো প্রার্থীকে নির্বাচনে জয়ী হতে হলে কমপক্ষে ২৭০টি ইলেক্টরাল ভোট পেতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্টের নাম বারাক হোসেন ওবামা। তিনি ২০০৯ সালে নির্বাচিত হয়েছেন।

কানাডা: দশটি প্রদেশের সমন্বয়ে কানাডা গঠিত। মূলত এখানে সাংবিধানিক রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত। তবে সবগুলো প্রদেশের সমন্বয়েই কানাডার সরকার পরিচালিত হয়। সরকার প্রধানকে বলা হয় গভর্ণর জেনারেল। ঔপনিবেশিক শাসনের ইতি ঘটলেও বৃটেনের রানী এলিজাবেথ-২ এখনো কানাডার রাণী হিসাবে রয়ে গেছেন। আর সেখানকার গভর্নর জেনারেল হলেন রানী এলিজাবেথের প্রতিনিধি। কানাডার সংসদ দ্বীকক্ষীয়। নিম্নকক্ষ হাউজ অব কমন এর সদস্য সংখ্যা ৩০৮। এরা প্রত্যেকেই নির্বাচিত প্রতিনিধি। আর সংসদের উচ্চকক্ষ হলো সিনেট। প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে গভর্ণর জেনারেল সিনেটের জন্য ১০৫ সদস্যকে নিয়োগ দেন। ২০০৫ সাল থেকে পাঁচ বছরের জন্য কানাডার গভর্নর জেনারেলের দায়িত্ব পালন করছেন মাইকেল জিয়ান।

আর্জেন্টিনা : রাষ্ট্রীয় নাম আর্জেন্টিনা প্রজাতন্ত্র। রাষ্ট্রপতি শাসিত গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা। দেশটির সংসদ দুই কক্ষবিশিষ্ট। উচ্চ কক্ষ সিনেটের সদ্য সংখ্যা ৪৬। প্রত্যেক প্রাদেশিক পরিষদ এবং ফেডারেল জেলা থেকে ২ জন করে সিনেট সদস্য ৯ বছরের জন্য মনোনীত করা হয়। নিম্ন কক্ষ চেম্বার অব ডেপুটি’র সদস্য সংখ্যা ২৫৪ জন। সংবিধান অনুযায়ী আর্জেন্টিার প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচক মন্ডলীর ভোটে ছয় বছরের জন্য নির্বাচিত হন। দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্টের নাম ক্রিস্টিনা ফার্নান্দেজ দি কিরচনার। তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন ২০০৭ সালের ডিসেম্বরে।

ব্রাজিল: রাষ্ট্রীয় নাম ফেডারেটিভ রিপাবলিক অব ব্রাজিল। গণতান্ত্রিক এ রাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার। ব্রাজিলের সংসদ দুই কক্ষবিশিষ্ট। নিম্ন কক্ষ চ্যাম্বার অব ডেপুটিস এর সদস্য সংখ্যা ৫১৩ জন। এরা নির্বাচিত হন ৪ বছরের জন্য। আর উচ্চ কক্ষ ফেডারেল সিনেট এর আসন সংখ্যা ৮১টি। সিনেটররা সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হন ৮ বছরের জন্য। ব্রাজিলের বর্তমান প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দ্যা সিলভা। তিনি প্রথমবারের মতো নির্বাচিত হয়েছিলেন ২০০২ সালে এবং ২০০৩ সালের জানুয়ারি থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে আবার ২০০৬ সালে নির্বাচিত হয়ে তিন বছরের জন্য দায়িত্ব গ্রহণ করেন ২০০৭ সালে।

অস্ট্রেলিয়া: প্রতীকিভাবে অস্ট্রেলিয়াতে এখনো বৃটিশ রাজত্ব টিকে রয়েছে। ঔপনিবেশিক শাসনের ইতি ঘটলেও বৃটেনের রানী এলিজাবেথ-২ এখনো অন্য কয়েকটি দেশের মতো অস্ট্রেলিয়ার রাণী হিসাবেও রয়ে গেছেন। আর সেখানকার গভর্নর জেনারেল হলেন রানী এলিজাবেথের প্রতিনিধি। অস্ট্রেলিয়ার সংসদ দ্বীকক্ষীয়। এর নিম্ন কক্ষ হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেনিভ এবং উচ্চ কক্ষ সিনেট। হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেনিভ এর সদস্য সংখ্যা নির্ধারিত থাকেনা। জনসংখ্যার উপর ভিত্তি করে নির্বাচনী এলাকার সীমা এবং আসন সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়। বর্তমানে এর সদস্য সংখ্যা ১৫০। সংসদের উচ্চকক্ষ সিনেটের সদস্য সংখ্যা ৭৬ জন। অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান গভর্নর জেনারেল কুয়েনটিন ব্রেচ। তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে।

বাংলাদেশ: সংসদীয় গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা ।
আফগানিস্তান: বহুদলীয় প্রজাতন্ত্র, রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার পদ্ধতি।
ভারত: রাষ্ট্রীয় নাম প্রজাতন্ত্রী ভারত। দেশটি গণতান্ত্রিক সংসদীয় পদ্ধতিতে পরিচালিত হয়।
পাকিস্তান: দেশটির রাষ্ট্রীয় নাম ইসলামী প্রজাতন্ত্রী পাকিস্তান। এর সরকার সংসদীয় পদ্ধতিতে পরিচালিত হয়।
ভুটান: ভুটানের রাজনৈতিক পদ্ধতি রাজতন্ত্র হলেও সরকার পরিচালিত হয় সংসদীয় পদ্ধতিতে।
মালদ্বীপ: রাষ্ট্রপতি শাসিত গণতান্ত্রিক সরকার পদ্ধতি।
মায়ানমার: সামরিক জান্তা।
নেপাল: সংসদীয় পদ্ধতি। সরকারের মেয়াদ ৫ বছর।
শ্রীলংকা: শ্রীলঙ্কার সরকার পদ্ধতি সংসদীয় এবং রাষ্ট্রপতি শাসিত পদ্ধতির সংমিশ্রণ। এর মেয়াদ ৬ বছর।


দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া
ব্রুনেই: সুলতান শাসিত শাসন ব্যবস্থা।
ইন্দোনেশিয়া: রাষ্ট্রপতি শাসিত গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা। সরকারের মেয়াদ ৫ বছর।
লাওস: সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র।
মালয়েশিয়া: দেশটির রাষ্ট্রীয় নাম প্রজাতন্ত্রী মালয়েশিয়া। নিয়মতান্ত্রিক রাজতন্ত্রের এ রাষ্ট্র সংসদীয় সরকার পদ্ধতিতে পরিচালিত হয়।
ফিলিপাইন: রাষ্ট্রপতি শাসিত গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা।
সিঙ্গাপুর: সংসদীয় প্রজাতন্ত্র।
থাইল্যান্ড: প্রধানমন্ত্রী শাসিত সাংবিধানিক রাজতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা।
ভিয়েতনাম: রাষ্ট্রপতি শাসিত
কম্বোডিয়া: প্রধানমন্ত্রী শাসিত সাংবিধানিক রাজতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা।
পূর্ব তিমুর: রাষ্ট্রপতি শাসিত প্রজাতন্ত্র।


উত্তর পশ্চিম এশিয়া
কাজাকিস্তান: প্রজাতন্ত্র।
কিরগিজিস্তান: সাংবিধানিক গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা।
তাজিকিস্তান: প্রজাতন্ত্র।
তুর্কমেনিস্তান: রাষ্ট্রপতি শাসিত একদলীয় প্রজাতন্ত্রী শাসনব্যবস্থা।
উজবেকিস্তান: কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্রপতি শাসিত প্রজাতন্ত্রী শাসনব্যবস্থা।


দূরপ্রাচ্য
চীন: রাষ্ট্রীয় নাম প্রজাতন্ত্রী চীন। এটি একটি সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র। সংসদীয় সরকার পদ্ধতির এ রাষ্ট্রের সরকার প্রধান প্রেসিডেন্ট।
জাপান: রাষ্ট্রীয় নাম জাপান। নিয়মতান্ত্রিক রাজতন্ত্রের এ দেশটির সরকার পরিচালিত হয় সংসদীয় পদ্ধতিতে।
উত্তর কোরিয়া: রাষ্ট্রীয় নাম পিপলস ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কোরিয়া। সমাজতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার এ রাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার পদ্ধতি বিদ্যমান।
দক্ষিণ কোরিয়া: রাজষ্ট্রীয় নাম কোরিয়া প্রজাতন্ত্র। রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার পদ্ধতি এ রাষ্ট্রের শাসনব্যবস্থা নিয়মতান্ত্রিক রাজতন্ত্র।
মঙ্গোলিয়া: দেশটির শাসনব্যবস্থা বর্তমানে সমাজতন্ত্র থেকে সংসদীয় প্রজাতন্ত্রের দিকে উত্তরণ ঘটেছে।
তাইওয়ান: রাষ্ট্রপতি শাসিত বহুদলীয় গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা।

মধ্যপ্রাচ্য
বাহরাইন: সংসদীয় পদ্ধতি।
ইরান: রাষ্ট্রীয় নাম ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান। এ রাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসিত সংসদীয় সরকার পদ্ধতি বিদ্যমান।
ইরাক: রাষ্ট্রীয় নাম প্রজাতন্ত্রী ইরাক। ইরাকের বর্তমান প্রেসিডেন্টের নাম জালাল তালাবানি। প্রধানমন্ত্রী শাসিত এ রাষ্ট্রের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নূরী আল মালিকি।
ফিলিস্তিন: গণতান্ত্রিক সরকার। বর্তমানে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। তিনি ২০০৫ থেকে দায়িত্ব পালন করছেন।
ইসরায়েল: রাষ্ট্রীয় নাম প্রজাতন্ত্রী ইসরাইল। রাষ্ট্র হিসাবে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠিত হলেও অধিকাংশ মুসলিম দেশের কাছ থেকে স্বীকৃতি পায়নি। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় পরিচালিত এই রাষ্ট্রে সংসদীয় সরকার পদ্ধতি প্রতিষ্ঠিত। ২০০৭ সাল থেকে এ রাষ্ট্রেরপ্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন শিমন প্যারেস। প্রধানমন্ত্রী শাসিত ইসরায়েলের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু। তিনি ২০০৯ সাল থেকে দায়িত্ব পালন করছেন।
জর্ডান: সংসদীয় রাজতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা।
কুয়েত: সংসদীয় গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার এ রাষ্ট্রে সরকার পরিচালনা করে আল-সাবাহ পরিবার।
লেবানন: প্রজাতন্ত্র।
ওমান: রাজতন্ত্রীয় শাসনব্যবস্থা।
কাতার: সংসদীয় রাজতন্ত্র।
সৌদী আরব: বাদশাহ শাসিত রাজতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা।
সিরিয়া: ১৯৬৩ সালের মার্চ থেকে সেনাশাসনের অধিনে রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসনব্যবস্থা।
ইয়েমেন: সংসদীয় প্রজাতন্ত্র।
সংযুক্ত আরব আমিরাত: রাজতান্ত্র।
তুরস্ক: রাষ্ট্রপতি শাসিত সংসদীয় গণতন্ত্র। তুরস্কে ২০০৭ সাল থেকে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করছেন আব্দুল্লাহ গুল।

পূর্ব ইউরোপ
আলবেনিয়া: উদিয়মান গণতন্ত্র।
বেলারুশ: প্রজাতন্ত্র।
বসনিয়া-হার্জেগোভিনা: উদিয়মান গণতন্ত্র।
বুলগেরিয়া: সংসদীয় গণতন্ত্র।
ক্রোয়েশিয়া: গণতন্ত্র।
হাঙ্গেরি: সংসদীয় গণতন্ত্র।
মেসিডোনিয়া: সংসদীয় গণতন্ত্র।
পোল্যান্ড: সংসদীয় গণতন্ত্র।
রোমানিয়া: রাষ্ট্রপতি শাসিত গণতন্ত্র।
স্নোভাকিয়া: সংসদীয় গণতন্ত্র।
স্নোভেনিয়া: সংসদীয় গণপ্রজাতন্ত্র।
সার্বিয়া: প্রজাতন্ত্র।
মন্টিনেগ্রো: প্রধানমন্ত্রী শাসিত গণপ্রজাতন্ত্র।

মধ্য ও পশ্চিম ইউরোপ
অ্যান্ডোরা: এটি স্পেন এবং ফ্র্যান্সের সীমান্তে অবস্থিত পাহাড়ের উপর একটি ুদ্র রাষ্ট্র। তাই স্পেন এর বিশপ এবং ফ্র্যান্সের প্রেসিডেন্টের সহায়তায় সংসদীয় শাসনব্যবস্থার মাধ্যমে অ্যান্ডোরা পরিচালিত হয়।
আর্মেনিয়া: প্রজাতন্ত্র।
অস্ট্রিয়া: গণতান্ত্রিক সংসদীয় পদ্ধতি।
আজারবাইজান: সাংবিধানিক প্রজাতন্ত্র।
বেলজিয়াম: নিয়মতান্ত্রিক রাজতন্ত্রের এই রাষ্ট্র সংসদীয় সরকার পদ্ধতিতে পরিচালিত হয়।
সাইপ্রাস: প্রজাতন্ত্র।
চেক প্রজাতন্ত্র: সংসদীয় গণতন্ত্র।
ডেনমার্ক: রাজা শাসিত সাংবিধানিক রাজতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা।
এস্তোনিয়া: সংসদীয় গণতন্ত্র।
ফিনল্যান্ড: সংসদীয় গণতন্ত্র।
ফ্রান্স: রাষ্ট্রপতি শাসিত গণতন্ত্র।
ভ্যাটিকান সিটি: ুদ্র রাষ্ট্র ভ্যাটিকান সিটি রোম নগরীর পাশে ভ্যাটিকান পাহাড়ের উপর অবস্থিত। খ্রিস্টান ধর্মের জন্য পবিত্র এ রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নেতা পোপ। পোপ-ই ভ্যাটিকান সিটি’র আইনি, নির্বাহী এবং বিচারিক ক্ষমতার অধিকারী। রাষ্ট্রের শাসনভার পোপের উপরই ন্যস্ত থাকে। এছাড়া সমগ্র বিশ্বের খ্রিস্টান সমাজের কাছে ভ্যাটিকান সিটি ও পোপ পবিত্র। ২০০৫ সাল থেকে ভ্যাটিকান সিটি শাসন করছেন পোপ বেনেডিক্ট-১৬।
জর্জিয়া: প্রজাতন্ত্র।
জার্মানি: গণতান্ত্রিক সংসদীয় পদ্ধতি।
গ্রিস: গণতান্ত্রিক সংসদীয় পদ্ধতি।
আইসল্যান্ড: সাংবিধানিক প্রজাতন্ত্র।
আয়ারল্যান্ড: সংসদীয় গণতান্ত্রিক পদ্ধতি।
ইতালি: দেশটির শাসনপদ্ধতি সংসদীয় গণতান্ত্রিক।
লাটভিয়া: সংসদীয় গণতন্ত্র।
লিথুনিয়া: সংসদীয় গণতন্ত্র।
লিচেনস্টাইন: বংশানুক্রমিক সাংবিধানিক রাজতন্ত্র।
লুক্সেমবার্গ: গণতান্ত্রিক সংসদীয় পদ্ধতি।
মালদোভা: গণপ্রজাতন্ত্র।
মাল্টা: প্রজাতন্ত্র।
মোনাকো: সাংবিধানিক রাজতন্ত্র।
নেদারল্যান্ডস্: নিয়মতান্ত্রিক রাজতন্ত্রের এই রাষ্ট্র সংসদীয় সরকার পদ্ধতিতে পরিচালিত হয়।
নরওয়ে: গণতান্ত্রিক সংসদীয় পদ্ধতি।
পর্তুগাল: সংসদীয় গণতন্ত্র।
রাশিয়া: রাষ্ট্রের প্রধান প্রেসিডেন্ট। তবে নির্বাহী ক্ষমতা প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী উভয়েরই রয়েছে।
সানমেরিনো: প্রজাতন্ত্র।
স্পেন: নিয়মতান্ত্রিক রাজতন্ত্রের এই রাষ্ট্র সংসদীয় সরকার পদ্ধতিতে পরিচালিত হয়।
সুইডেন: নিয়মতান্ত্রিক রাজতন্ত্রের এই রাষ্ট্র সংসদীয় সরকার পদ্ধতিতে পরিচালিত হয়।
সুইজারল্যান্ড: কেন্দ্রীয় প্রজাতন্ত্র। পেসক্যাল কোউচিপিন ২০০৮ সাল থেকে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন।
ইউক্রেন: সংসদীয় প্রজাতন্ত্র।
যুক্তরাজ্য: ইউনাইটেড কিংডম অব গ্রেট ব্রিটেন অ্যান্ড নর্থ আয়ারল্যান্ড। সাংবিধানিক রাজতন্ত্রের এই রাষ্ট্র সংসদীয় সরকার পদ্ধতিতে পরিচালিত হয়।

আফ্রিকা
আলজেরিয়া: সংসদীয় প্রজাতন্ত্র।
এঙ্গোলা: একদলীয় সমাজতন্ত্র থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের দিকে ধাবিত হয়েছে।
বেনিন: বহুদলীয় গণতন্ত্রীয় শাসনের অধীন প্রজাতন্ত্র।
বতসোয়ানা: সংসদীয় প্রজাতন্ত্র।
বুরুন্ডি: প্রজাতন্ত্র।
বারকিনো ফ্যাঁসো: সংসদীয় শাসনব্যবস্থা।
কেপভার্দে: প্রজাতন্ত্র।
ক্যামেরুন: প্রজাতন্ত্র।
মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্র: প্রজাতন্ত্র।
কমোরোস: উদিয়মান গণতন্ত্র।
চাঁদ: প্রজাতন্ত্র।
কঙ্গো: মধ্যবর্তীকালীন সরকার।
জিবুতি: প্রজাতন্ত্র।
আইভরি কোস্ট:
মিশর: প্রজাতন্ত্র।
নিরক্ষীয় গিনি: একনায়কতন্ত্র।
ইথিওপিয়া: কেন্দ্রীয় প্রজাতন্ত্র।
ইরিত্রিয়া: গণতান্ত্রিক পদ্ধতি প্রতিষ্ঠিত করার জন্য মধ্যবর্তী সরকার শাসন পরিচালনা করছে।
গ্যাবন: প্রজাতন্ত্র।
গাম্বিয়া: প্রজাতন্ত্র।
ঘানা: সাংবিধানিক গণতন্ত্র।
গিনি: প্রজাতন্ত্র।
গিনি বিসাউ: প্রজাতন্ত্র।
লাইবেরিয়া: প্রজাতন্ত্র।
কেনিয়া: প্রজাতন্ত্র।
লেসোথো: সংসদীয় সাংবিধানিক রাজতন্ত্র।
লিবিয়া: সামরিক একনায়কতন্ত্র।
মালাউই: বহুদলীয় গণতন্ত্র।
মাদাগাস্কার: বহুদলীয় গণতন্ত্র।
মালি: প্রজাতন্ত্র।
মরিশাস: সংসদীয় গণতন্ত্র।
মৌরিতানিয়া: ইসলামী আইনে পরিচালিত সামরিক শাসন।
মরক্কো: সাংবিধানিক রাজতন্ত্র।
নাইজেরিয়া: সামরিক শাসন থেকে বহুদলীয় সরকার ব্যবস্থায় ধাবিত হচ্ছে।
মোজাম্বিক: বহুদলীয় প্রজাতন্ত্র।
নামিবিয়া: প্রজাতন্ত্র।
নাইজার: প্রজাতন্ত্র।
রুয়ান্ডা: প্রজাতন্ত্র।
সিয়েরা লিওন: সাংবিধানিক গণতন্ত্র।
সাওটোম এন্ড প্রিন্সিপে: প্রজাতন্ত্র।
সেনেগাল: বহুদলীয় গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র।
সিসিলিস: সমাজতন্ত্রী বহুদলীয় প্রজাতন্ত্র।
সোমালিয়া: প্রজাতন্ত্র।
দক্ষিণ আফ্রিকা: গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার পদ্ধতি।
টোগো: বহুদলীয় গণতন্ত্রের দিকে ধাবমান।
সুদান: সামরিক শাসন।
সোয়াজিল্যান্ড: রাজতন্ত্র।
তাঞ্জানিয়া: প্রজাতন্ত্র।
তিউনিসিয়া: প্রজাতন্ত্র।
উগান্ডা: বহুদলীয় গণতন্ত্রী প্রজাতন্ত্র।
জাম্বিয়া: প্রজাতন্ত্র।
জিম্বাবুয়ে: সংসদীয় গণতন্ত্র।


উত্তর আমেরিকা
যুক্তরাষ্ট্র: রাষ্ট্রিীয় নাম ইউনাইটেড স্টেটস অব আমেরিকা। কেন্দ্রীয় প্রজাতান্ত্রিক শাসানব্যবস্থার এ রাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসিত গণতান্ত্রিক সরকার পদ্ধতি বিদ্যমান।
কানাডা: দশটি প্রদেশের সমন্বয়ে কানাডা গঠিত। মূলত এখানে সাংবিধানিক রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত।
মেক্সিকো: গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় পরিচালিত এই রাষ্ট্রের সরকার প্রধান প্রেসিডেন্ট।

মধ্য আমেরিকা
এল সালভাদোর: প্রজাতন্ত্র।
কোস্টারিকা: গণপ্রজাতন্ত্র।
গুয়েতেমালা: সাংবিধানিক গণপ্রজাতন্ত্র।
নিকারাগুয়া: প্রজাতন্ত্র।
পানামা: সাংবিধানিক গণতন্ত্র।
হন্ডুরাস: সাংবিধানিক গণপ্রজাতন্ত্র।


ক্যারাবিয়ান অঞ্চল
অ্যান্টিগুয়া ও বারমুডা: সাংবিধানিক রাজতন্ত্র।
কিউবা: রাষ্ট্রপতি শাসিত সমাজতান্ত্রিক সরকার পদ্ধতি।
গ্রানাডা: সাংবিধানিক রাজতন্ত্র।
জ্যামাইকা: সাংবিধানিক সংসদীয় গণতন্ত্র।
ডোমিনিকা: সংসদীয় গণতন্ত্র।
ডোমিনিকান রিপাবলিক: প্রতিনিধি গণতন্ত্র।
ত্রিনিদাদ ও টোবাগো: সংসদীয় গণতন্ত্র।
বারবাডোজ: সংসদীয় গণতন্ত্র।
বাহামাস: সংসদীয় গণতন্ত্র।
বেলিজ: নিয়মতান্ত্রিক রাজতন্ত্রসহ সংসদীয় গণতন্ত্র।
সেন্টকিটস-নেভিস: সাংবিধানিক রাজতন্ত্র।
সেন্টভিনসেন্ট ও গ্রেণাডাইনস্: নিয়মতান্ত্রিক রাজতন্ত্রসহ সংসদীয় গণতন্ত্র।
সেন্ট লুসিয়া: নিয়মতান্ত্রিক রাজতন্ত্রসহ সংসদীয় গণতন্ত্র।
হাইতি: প্রজাতন্ত্র।
পোয়ার্টোরিকো: নিয়মতান্ত্রিক রাজতন্ত্র।

দক্ষিণ আমেরিকা
আর্জেন্টিনা: রাষ্ট্রপতি শাসিত গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা।
ইকুয়েডর: প্রজাতন্ত্র।
উরুগুয়ে: সাংবিধানিক প্রজাতন্ত্র।
কলম্বিয়া: প্রজাতন্ত্র।
গায়ানা: প্রজাতন্ত্র।
চিলি: প্রজাতন্ত্র।
প্যারাগুয়ে: সাংবিধানিক প্রজাতন্ত্র।
বলিভিয়া: প্রজাতন্ত্র।
ব্রাজিল: গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার।
ভেনিজুয়েলা: কেন্দ্রীয় প্রজাতন্ত্র।
সুরিনাম: সাংবিধানিক গণতন্ত্র।
পেরু: সাংবিধানিক প্রজাতন্ত্র।


ওসেনিয়া
অস্ট্রেলিয়া: এখানে নিয়মতান্ত্রিক রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত।
পাপুয়া নিউগিনি: সাংবিধানিক রাজতন্ত্রসহ সংসদীয় গণতন্ত্র।
সলোমান দ্বীপপুঞ্জ: সাংবিধানিক রাজতন্ত্রসহ সংসদীয় গণতন্ত্র।
ফিজি: প্রজাতন্ত্র।
নিউজিল্যান্ড: সংসদীয় গণতন্ত্র।
টোঙ্গা: বংশানুক্রমিক সাংবিধানিক রাজতন্ত্র।
সামোয়া: সাংবিধানিক রাজতন্ত্র।
নাউরু প্রজাতন্ত্র: সাংবিধানিক রাজতন্ত্র।
টুভালু: সাংবিধানিক রাজতন্ত্রসহ সংসদীয় গণতন্ত্র।
ভানুয়াটু: প্রজাতন্ত্র।
কিরিবাতি: প্রজাতন্ত্র।

কোন মন্তব্য নেই: