রবিবার, ডিসেম্বর ০৫, ২০১০

প্রকৃতিপাগল ওরা


শাহ মুহাম্মদ মোশাহিদ
গাছের নাম ‘পান্থপাদপ’। এর আগে দেখেছি অনেক, নাম জানা ছিল না। এমন অদ্ভুত নাম শেখর রায়ের মুখেই শুনলাম প্রথম। ভাবলাম তিনি ছাড়া বাকি সবার বুঝি আমার মতোই দশা। একবার দৃষ্টি ঘোরালাম নটর ডেম কলেজের ছাত্রদের দিকে। হতাশ হতে হলো। ২০ থেকে ২৫ জোড়া উজ্জ্বল চোখই বলে দিচ্ছে যে ওরা মোটেও এ ব্যাপারে অজ্ঞ নয়। আর অন্তর্ভেদী এ চোখগুলোর কাছেই ধরা পড়তে হলো আমাকে। অর্থাৎ হেলাফেলার পাত্র হয়ে গেলাম আর কি। ওরা যেন বলছে ‘এখনো এটাও জান না? এসব তো আমাদের কাছে পানির মতো সোজা।’
হ্যাঁ গাছ, পাখি, ফুলসহ প্রকৃতির সব ব্যাপার-স্যাপার ওদের কাছে পানির মতোই। কারণ ওরা নটর ডেম নেচার স্টাডি কাবের সদস্য। ওরা প্রকৃতিপাগল। প্রকৃতিকে জানতে বুঝতে ফিল্ড ট্রিপে বেরিয়েছে (২৬ নভেম্বর ২০১০) নিজেদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নটর ডেমের আঙিনায়। ঘুরে ঘুরে দেখছে এ গাছ ও গাছ। আর ওদেরকে এটা-ওটা বুঝিয়ে দিচ্ছেন কাবের আজীবন সদস্য শেখর রায়। আমার কৌতূহল মেটানোর জন্যই পান্থপাদপ সম্পর্কে নাতিদীর্ঘ একটি বক্তৃতা দিতে হলো তাকেÑ এর ইংরেজি নাম ঞৎধাবষষবৎ’ং। বাংলা ‘পান্থ’ শব্দটির অর্থ হলো পথিক। আর ‘পাদপ’ হলো গাছ। অর্থাৎ ইংরেজি ও বাংলা উভয় ভাষাতেই ‘পান্থপাদপ’ অর্থ দাঁড়ায় পথিকের জন্য গাছ। কৌতূহল বেড়ে গেল আরো। গাছটি কি কেবল পথিকের জন্যই? তাহলে এটি নটর ডেম আঙিনায় কেন? আরামবাগ মোড়ে রোপণ করলেই হতো, প্রতিদিন অসংখ্য পথিক যাওয়া-আসা করে এ পথ ধরে। জটিলতা ভেঙে দিলো কাবের ইন্টারমিডিয়েট পড়–য়া সদস্যরাই। গাছটির পাতা দেখতে কলাপাতার মতো। কিন্তু কান্ডের ভেতরটা ফাঁপা, যেখানে পানি জমে থাকে। আগেকার দিনে এ পানিতে তিয়াস মেটাতো অনেক পথিক। কেবল আগেকার দিনেই কেন, এখনো এর কান্ডে তিয়াস মেটানোর মতো পানি পাওয়া যাবে। তবে এ ক্ষেত্রে একটি সমস্যা আছে। জলবায়ুর উষ্ণতা আর বনাঞ্চল ধ্বংস হয়ে যাওয়ার কারণে বিশ্বের পরিবেশ এখন ভীষণভাবে বিপন্ন। এখন পৃথিবীতে গাছের বড়ই প্রয়োজন। আর যেখানে গাছের প্রয়োজন সেখানে কেবল তিয়াস মেটানোর জন্য গাছটিকে কেটে ফেলবেন, এমনটি হওয়ার নয়। আর আপনি চাইলেও কাটতে দেবে না প্রকৃতিপ্রেমিকরা। ভাবতে পারেন এ গাছটি না হয় কাটতে মানা, অন্য কোথাও কি এমন গাছ পাওয়া যাবে না? হ্যাঁ, পাওয়া যাবে বটে, তবে সহজে নয়। কারণ এটি বিরল প্রজাতির। বাংলাদেশে নটর ডেম কলেজেই গাছটি প্রথম লাগানো হয় এবং এ ব্যাপারে নটর ডেম ছিল পাইওনিয়র। অনেক মানুষ গাছটিকে দেখতে নটর ডেম কলেজে আসেন।
পান্থপাদপের পর প্রকৃতিপাগল ওরা যে গাছের সাথে আমাকে পরিচয় করিয়ে দিলো, তাতে আমার পিলে চমকে যাওয়ার অবস্থা। শুনেছিলাম পৃথিবীতে সে গাছ একটিই মাত্র আছে। আর সেটি হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। তাহলে নটরডেমে এলো কিভাবে?
বলছি সে কাহিনীইÑ গাছটির নাম ‘তালিপাম’। এর বৈশিষ্ট্য হলো একবার ফল দিয়ে মারা যায়। দেখতে একেবারেই সাধারণ তাল গাছের মতো, কেউ বলে না দিলে বোঝা প্রায় অসম্ভব যে, এটি তাল গাছ নয়। তাই একে ‘বন্যতাল’ বলেও ডাকা হয়। এ গাছ ফল দেয়ার পর সর্বোচ্চ এক বছর বাঁচে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গাছটিতে গত বছর নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে ফল পাকা শেষ হয়েছে। ফলে ধারণা করা হয় কিছু দিনের মধ্যেই গাছটি মারা যাবে। তাই এ গাছটিকে টিকিয়ে রাখার জন্য উদ্যোগী হয় রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস্ লিমিটেড। এরা বীজ থেকে নতুন চারা উৎপাদনের প্রচেষ্টা চালায় এবং সফল হয়। গত ১ বৈশাখ, ১৪১৭ সালে এর অঙ্কুরোদগম ঘটে। বীজ থেকে চারা বের হতে দেড় থেকে আড়াই মাস সময় লাগে। এ পর্যন্ত প্রায় দু’হাজার চারা তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে রোপণ করে। আর এরই একটি হলো নটর ডেম আঙিনার ‘তালিপাম’।
প্রকৃতিপাগলদের সাথে প্রকৃতিকথন চলছিলো বেশ। হঠাৎ না বলে না কয়ে আমাদের দলে এসে ভিড়লেন নটর ডেম কলেজের অধ্যক্ষ ফাদার বেঞ্জামিন কস্তা। সম্ভবত পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন কোথাও। প্রিয় ছাত্রদের দেখে খোঁজ নিতে দাঁড়িয়ে গেলেন। উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করলেন কাবের। উপদেশ দিলেন ছাত্রদের। তারপর আরো কথা-বার্তা হলো। বিদায় নিলেন তিনি এবং আলোচনা মোড় নিলো গাছ থেকে পাখিতে। বিপুল উৎসাহে ছাত্ররা দেখালো পাখিদের জন্য তাদের উদ্যোগ। আঙিনার গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে কৃত্রিম পাখির বাসা। এগুলো টানিয়েছে ওরাই। মাঝে মাঝে পাখিরা উড়ে এসে বসে, ডিম দেয়, বাচ্চা ফুটায়।
প্রকৃতিকে সংরক্ষণ করার জন্য ওদের চেষ্টার শেষ নেই। ওরা প্রকৃতিকে সময় দেয় তিনটি আঙ্গিক থেকেÑ ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও কাবের মাধ্যমে। রাকিব হাসান খান আবির। বর্তমানে নেচার স্টাডি কাবে ওর সদস্য নং ১১হ১২। নটর ডেম কলেজে ভর্তির ফরম তুলতে এসে কাবের একটি ক্যাটালগ হাতে পায় সে। আর এ ক্যাটালগের মাধ্যমেই কাবের সাথে ওর পরিচয়। সেই থেকেই শুরু। তারপর নটর ডেম কলেজে ভর্তি এবং নেচার কাবের সদস্য হওয়া। এ কাব তাকে শিখিয়েছে- প্রকৃতিকে ভালোবাসতে হবে, প্রকৃতিকে শিখতে হবে, জানতে হবে। অযথা সময় নষ্ট করা যাবে না। পড়ার জন্য নির্দিষ্ট কোনো সময় নেই। যখন ভালো লাগবে পড়বে, যখন ভালো লাগবে না পড়বে না। ইত্যাদি ইত্যাদি।
এক ঝাঁক প্রকৃতিপ্রেমীর সাথে আড্ডা জমে গেল আরো। খোলা আঙিনায় গাছের কোমল ছায়ায় দাঁড়িয়ে আমরা। বলছি-শুনছি, জানছি-জানাচ্ছি। কখনো বা উদ্বেগ প্রকাশ করছি সেসব কিশোরদের জন্য, যারা এই বয়সেই জড়িয়ে যায় নানা অপরাধে। হাতের সময়টুকু ব্যয় করে অনর্থক কাজে। কেউ কেউ বখাটেপনা আর মাদকাসক্ত হয়ে প্রস্ফুটিত হওয়ার আগেই শেষ করে দিচ্ছে নিজেকে। অথচ এ আড্ডার সবাই কিশোর। তাদের মাঝে এমন কেউ নেই যার হাতে অনর্থক কাজ করার মতো সময় রয়েছে।
উদ্যমী এ কিশোরদের একজন আবদুর রহিম। থাকে বাসাবোতে। নেচার স্টাডি কাবে সদস্য নং ১২হ৪০। সকাল সাড়ে ৫টায় সে বিছানা ছেড়ে ওঠে। প্রাতঃকাজ সারার পর প্রথম যে দায়িত্বটির কথা তার মাথায় আসে তা হলোÑ সে একজন মুসলমান। আর তাই তাকে ফজরের নামাজ পড়তে হবে। নামাজ শেষে পত্রিকা পড়া, নাশতা করা ইত্যাদি কাজ যথাযথভাবে সম্পন্ন করে ঠিক ৭টার মধ্যে বেরিয়ে যায় স্কুলের উদ্দেশে। পৌঁছে সাড়ে ৭টায় এবং কাস শুরু ৮টা থেকে। আর শেষ হয় পৌনে ১টায় এবং বাসায় যেতে আধাঘণ্টা। দুপুরের খাওয়া সেরে বাবার জন্য ভাত নিয়ে যেতে হয় সবুজবাগ থানার পাশে। ফিরতে ফিরতে সাড়ে ৩টা বেজে যায়। কোনো কোনো দিন প্রাইভেট পড়তে যায়। আর যেদিন প্রাইভেট থাকে না সেদিন বিকেলে এবং ছুটির দিনে সে বেরিয়ে যায় প্রকৃতির কাছে দেয়া ওয়াদা রক্ষা করতে। প্রকৃতি যেন দূষিত না হয় সে জন্য কাজ করে। পরিবারের সদস্যদের সচেতন করে। সচেতন করে প্রতিবেশীদের। এই তো সেদিন স্কুলে আসার সময় দেখতে পেল, জবাই করা পশুর বর্জ্য পরে আছে রাস্তার মাঝখানে। নেচার কাবের সদস্য হিসেবে পরিবেশের ক্ষতি হয় এমন কাজ দেখেও না দেখার ভান করে চলে আসতে পারেনি রহিম। একটু সময় দিয়ে নিজেই চলার পথ থেকে সরিয়ে রেখেছে বর্জ্য। তারপর স্থানীয়দের বলে এসেছে যেন মাটির নিচে পুঁতে রাখা হয়।
রহিমের দৈনন্দিন কাজের মাঝে মগ্ন থেকেই আমরা পা বাড়ালাম ৩১২ নম্বর কক্ষের দিকে, যেখানে একটু পরই গঠন হবে নতুন বছরের জন্য কাবের নতুন কমিটি। সদস্যরা কক্ষে প্রবেশ করল। আর শেখর রায় আমাকে নিয়ে দাঁড়িয়ে গেলেন নটর ডেম কলেজের সাবেক ছাত্র এবং কাবের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন ড. আশরাফুজ্জামন চৌধুরীর মুখোমুখি। বর্তমানে তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে মাইক্রোবায়োলজি ডিপার্টমেন্টের সহকারী অধ্যাপক। তার পাহাড়সম স্বপ্ন নতুন প্রজন্মকে নিয়ে। নেচার স্টাডি কাবের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের মাঝে প্রকৃতি সংরক্ষণের চেতনা ছড়িয়ে দেয়ার সুযোগ রয়েছে বলেই তিনি এর সাথে রয়েছেন। ড. চৌধুরী বলেন, এখানকার ছেলেপেলেদের মাঝে প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসার যে বীজ প্রবেশ করানো হয়, তা ধীরে ধীরে অঙ্কুরিত হয়। তারপর এ ভালোবাসার বৃক্ষ গজিয়ে উঠতে থাকে স্ব স্ব পরিবেশে। এরই প্রমাণ বর্তমানে এর সদস্যরা প্রকৃতির জন্য কাজ করে যাচ্ছেন দেশ-বিদেশে। এমনই একজন সদস্যের উদাহরণ টানলেন তিনি। নটর ডেম কলেজের সাবেক ছাত্র কাউসার মোস্তফা। সম্প্রতি নিতান্ত শখের বসেই থাইল্যান্ডের একটি বাঘের খাঁচায় ঢুকেছিলেন তিনি। কী সাঙ্ঘাতিক কাণ্ড! বাঘ তো বাঘের মতোই ভয়ঙ্কর, মানুষকে কাছে পেলে ছেড়ে কথা বলার প্রাণী নয়। এ কারণেই যুক্তরাজ্যের চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের কাছে মুচলেকা দিয়ে ঢুকতে হয়েছিল তাকে। অর্থাৎ খাঁচার বাঘ তার ঘাড় মটকে দিলেও কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়। কিন্তু সবাইকে আশ্চর্য করে দিয়ে কাউসার মোস্তফা ঠিক ঠিকই খাঁচায় ঢোকেন এবং অক্ষতভাবে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন। শুধু কি তাই, ডোরাকাটা শরীরে হাত বুলিযে হিংস্র বাঘকে বশ করেছিলেন তিনি। কাউসারকে দেখে হালুম করা তো দূরের কথা টু শব্দটিও করেনি। বরং জড়াজড়ি করে নিশ্চিন্তে শুয়ে থাকতে দিয়েছিল তাকে। যেন প্রকৃতিপ্রেমিক হিসেবে কাউসার মোস্তফাকে যথার্থই চিনতে পেরেছিল সে।
আশরাফুজ্জামান চৌধুরীর সাথে কথা বলতে বলতেই ব্যস্তপদে এসে হাজির হলেন কাবের প্রতিষ্ঠাতা মিজানুর রহমান ভূঁইয়া। পরনে পাঞ্জাবি-পাজামা। পায়ে পুরো সোলের স্যান্ডেল। মুখে কাঁচাপাকা দাড়ি। চোখে চশমা। মাথায় শুভ্র টুপি। আর নিশ্চিত করে বলে দেয়া যায় যে, তার ভেতরটাও ভীষণ শুভ্র। একদম কাশফুলের মতো। কারণ শুভ্র হৃদয় না থাকলে প্রকৃতিকে ভালোবাসা যায় না। এই মিজানুর রহমান ভূঁইয়াই কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রকৃতি সংরক্ষণের চেতনা ছড়িয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যে ১৯৮৪ সালে কাব গঠনের উদ্যোগ নেন। তিনি স্বপ্ন দেখেন সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব একটি পৃথিবীর। জলবায়ুগত উষ্ণায়ন, বনাঞ্চল ধ্বংস, বিভিন্ন উদ্ভিদ ও প্রাণী প্রজাতির বিলুপ্তি পরিবেশকে বিপন্ন করে তুলছে। রাসায়নিক ও কীটনাশকের অপরিকল্পিত ব্যবহার, পারমাণবিক অস্ত্রের অনৈতিক ব্যবহার, নদী ও সমুদ্রগর্ভে বর্জ্য নিক্ষেপ প্রতিনিয়ত ভাবায় তাকে। তাই এসবের বিপরীতে দাঁড়িয়েছেন তিনি। কাজ করছেন নিভৃতে। পরিবেশের জন্য ঘাম ঝরাতে কোনো পিছুটান নেই তার। তবে এতসব উদ্যমের মাঝেও রয়েছে কিছু সীমাবদ্ধতা। এককালীন নামেমাত্র অঙ্কের রেজিস্ট্রেশন ফি ছাড়া আর কোনো টাকা তারা সদস্যদের কাছ থেকে নেন না। তাই কাবের কোনো আয়ও নেই। এর সদস্যরা গাঁটের পয়সা খরচ করে স্বেচ্ছাশ্রম দেন। অর্থনৈতিক এ সীমাবদ্ধতার কারণে তাদের অনেক উদ্যোগই মুখ থুবড়ে পরে। তবে তিনি জানান, ‘মাঝে মাঝে বিভিন্ন দেশী-বিদেশী সংস্থা আমাদের অর্থ দিতে চায়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সমস্যা হলো, ওরা নির্দিষ্ট ছক বেঁধে দেয়। আর সে ছক অনুযায়ী কাজ করতে গেলে আমরা আমাদের মৌলিকত্ব থেকে বিচ্যুত হবো।’ সে কারণে অনাড়ম্বরভাবেই কাজ করছেন তারা। খাজনার চেয়ে বাজনা বেশি বাজানোর পক্ষপাতী তিনি নন । অনেকেই প্রকৃতির জন্য কাজ করতে গিয়ে উল্টো প্রকৃতির ক্ষতি করে বসেন। তারা যতটুকু কাজ করেন তার চেয়ে বেশি ঢোল-পেটরা পেটান, এই মেলা সেই মেলার আয়োজন করে জনসমাগম ঘটাতে বেশি পছন্দ করেন। এতে করে প্রাণীদের অভয়াশ্রম বিনষ্ট হয়। এতটুকু বলে দীর্ঘশ্বাস ফেললেন শুভ্র হৃদয়ের এই মানুষটি। তারপর উদাস দৃষ্টি ফেললেন নটর ডেম আঙিনায়।