সোমবার, মার্চ ২৯, ২০১০

ঘড়ির কাঁটায় সময় আঁটা


-কিরে তোর বাবার আর কত সময়? লোকটার প্রশ্নের জবাবে কিছু বললনা ময়না কারণ তারও একই প্রশ্ন, কখন ফিরে আসবে বাবা আর কখনইবা কেরোসিন দিয়ে বিদায় করতে পারবে এই শহুরে দম্পতিকে
খানিকটা অধৈর্য্য হয়ে উঠে দাঁড়ালো মহিলা-বাড়ি চল এবার দোকানি কখন ফিরে আসে কি না আসে তার কোন ঠিক নেই আর কী আশ্চর্য্য গ্রাম-ই বা তোমাদের নেই বিদ্যুৎ, নেই দোকান পাট একটা ঝুপড়ি যা-ও পাওয়া গেল, তাতেও আবার কেরোসিনের টিন খালি!
- অপেক্ষা কর মেয়েটাতো বললোই ওর বাবা কেরোসিন নিয়ে আসছে
- হ্যা, অপেক্ষাতো করছিই তবে এ অপেক্ষার শেষ কি আদৌ হবে?
- কিভাবে আর হবে, ঘড়ির কাঁটা পুনরায় এগিয়ে নেয়ার সিদ্ধন্ত তো সরকার বাতিল করে দিয়েছে যদি আগামী ৩১ তারিখ মধ্য রাত থেকে ডে-লাইট সেভিং সিস্টেম আবার চালু হতো তবে কিছুদিন পর হয়ত আমাদের এই গ্রামের মত বঞ্চিত এলাকাগুলোতেও বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যেতো তখন আর দু’দিনের জন্য গ্রামে এসে কেরোসিন কিনতে অপেক্ষা করতে হতো না তোমাকে
- তাই নাকি! আগে এক ঘন্টা বিদ্যুৎ না থাকলে আরেক ঘন্টা থাকার নিশ্চয়তা ছিল এখন তাও নেই
দম্পতির দূর্বোধ্য কথাগুলো পুরোপুরি বুঝতে না পারলেও শংকিত হয়ে উঠল ময়না ভাগ্যিস ওর বাবা ঘড়ি কেনার মতো বোকামি করতে যায়নি
কিছুক্ষন নিরব থেকে আবার কথা শুরু করল মহিলা -সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করায় সরকারকে অভিনন্দন কিন্তু এ সিদ্ধান্তটা ছিল নিজের সাথে প্রতারণা করার মত
- ঘড়ি কি কখনো বন্ধ থাকে? মিনিট, সেকেন্ড আর ঘন্টার কাঁটা নির্দিষ্ট কক্ষপথে ২৪ ঘন্টায় একবার পরিভ্রমণ করে ২০০৯ সালের ১৯ জুন থেকে সরকার যখন কাঁটা একঘন্টা এগিয়ে দিলো, তখন যেমন দিনে একবার পরিভ্রমণ করেছে, ৩১ ডিসেম্বর মধ্যরাত থেকে আগের অবস্থায় পিছিয়ে দেয়ার পরও একবারই করেছে
- বিভিন্ন উন্নত দেশে ডে-লাইট সেভিং সিস্টেম রয়েছে
- উন্নত বিশ্বের অনুকরণ আমাদের একটা বাজে স্বভাব অনুকরণ কেন করবো কিংবা করলে লাভ না কি তি সে হিসাব না করে সঙ সেজেই বেশি আনন্দ পাই আমরা, অন্তত লোক হাসানো তো যায়
- তাদের কোন ভালো উদাহরণকেও কি গ্রহণ করা যাবেনা?
- এটা আমাদের জন্য মোটেই ভালো উদাহরণ নয় বিষুব রেখার কাছাকাছি দেশ এটি এখানে দিন এবং রাতের দৈর্ঘ্য শীত এবং গ্রীষ্মকালে খুব বেশি বড় এবং ছোট হয়না এছাড়া তাদের জীবণযাত্রা আমাদের মতো নয় পশ্চিমা দেশগলোতে সময় দেখে খায় সময় দেখে ঘুমায় আর আমরা ছয়টার গাড়ি নয়টায় ছাড়ি!
-আমাদের দেশের জনগণকে নতুন নিয়মে অভ্যস্ত করে তুলতে হবে ঘুম থেকে ওঠে সূর্যের আলো না দেখা পর্যন্ত বিছানা ছাড়া যাবে না এমন অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে
- আর কি কি ত্যাগ করতে হবে শুনি?
-আপাতত বিদ্যুৎ সাশ্রয় করার জন্য যা যা প্রয়োজন
একমুহুর্ত কিছু একটা ভাবলো মহিলা তারপর হাত ধরে হিড়হিড় করে টেনে নিয়ে যেতে লাগলো স্বামীকে -বাড়ি চল, কেরোসিন লাগবেনা এখন থেকে অন্ধকারে থাকার অনুশীলন শুরু করব আমরা প্র্যাকটিস ম্যাকস এ ম্যান পারফেক্ট কারণ, বিদ্যুৎ সাশ্রয় করার জন্য বিদ্যুৎ ব্যবহার করার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে তো!
লোকটা জবাবে যা বলল তা স্পস্ট শুনতে পেলনা ময়না কারণ ততক্ষনে ঝুপড়ি থেকে দূরত্ব অনেকটা বেড়ে গেছে দম্পতির ক্রমেই দৃস্টি থেকে তারা মিলিয়ে যাবার পর সম্বিত ফিরে পেলো সে ভাবল এসব জেনেইবা কী কাজ? ঘড়ির কাঁটা তার জীবনে প্রভাব ফেলেনা সে সুর্য্য দেখে ঘুম থেকে জাগে এবং সুর্য্যাস্ত দেখেই সন্ধ্যাবাতি জ্বালে

সোমবার, মার্চ ০১, ২০১০

স্বাধীনতা দেশে দেশে


স্বাধীনতা। এ শব্দটির মাঝেই নিহিত রয়েছে বাধাহীনতা আর স্বচ্ছন্দতা। প্রতিটি ব্যক্তি যেমন থাকতে চায় মুক্ত তেমনি বৃহৎ ক্ষেত্রে প্রতিটি রাষ্ট্রের জন্য প্রয়োজন নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা। বর্তমানে পৃথিবীতে রয়েছে বহু স্বাধীন দেশ। এগুলোর স্বাধীনতা অর্জনের পেছনে রয়েছে ইতিহাস। প্রতিটি দেশ স্বাধীন হয়েছে বহু ত্যাগ-তীতিক্ষার পর। আবার বাংলাদেশের মতো অসংখ্য ভ’খন্ড উর্বর হয়েছে স্বাধীনতাকামীদের রক্তেও। কিন্তু তবুও মানুষ শৃঙ্খলিত থাকতে নারাজ। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশগুলোর শৃঙ্খলমুক্ত হওয়ার তথ্য নিয়ে লিখেছেন শাহ মুহাম্মদ মোশাহিদ

বাংলাদেশ
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি রাষ্ট্র। এটি জনসংখ্যার ভিত্তিতে বিশ্বের তৃতীয় মুসলিম দেশ। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের সমাপ্তির পর ১৯৪৭ সালে ভারত উপমহাদেশ বিভক্ত হয়ে ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি দেশের সৃস্টি হয়। পাকিস্তানের জন্ম হয় দুটি আলাদা আলাদা ভ’খন্ড নিয়ে। একটি পশ্চিম পাকিস্তান এবং অপরটি পূর্ব পাকিস্তান নামে অভিহীত হয়। কিন্তু পাকিস্তান সরকারের শোষণ, নিপীড়নের কারণে পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের মাঝে ক্ষোভ পুঞ্জিভ’ত হতে থাকে। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়েই পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মাঝে দূরত্ব আরো বেড়ে যায়। স্বাধীকারের বিভিন্ন আন্দোলন ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আসে সত্তরের নির্বাচন। এতে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করলেও সামরিক জান্তা মতা হস্তান্তরে অস্বীকৃতি জানায়। এ বিষয়ে সমঝোতা না হওয়ায় পাকিস্তানের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জেনারেল ইয়াহিয়া খান ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ গভীর রাতে বাংলাদেশের অবিসম্বাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে গ্রেপ্তার করেন এবং পাকিস্তানী সেনাবাহিনী অপারেশন সার্চলাইটের অংশ হিসাবে বাঙালিদের উপর নির্বিচারে আক্রমণ শুরু করে। ২৬ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেয়া হয় স্বাধীনতার। সৈয়দ নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে গঠিত হয অস্থায়ী সরকার। মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক আতাউল গণি উসমানীর নেতৃত্বে দেশকে স্বাধীন করতে অস্ত্র হাতে নেমে যায় মুক্তিযোদ্ধারা। বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা দীর্ঘ ৯ মাস অবিরাম যুদ্ধ করে ১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসে পাকিস্তান বাহিনীকে পরাভূত করে। মিত্রবাহিনী প্রধান জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার কাছে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর পাকিস্তান বাহিনীর প্রধান জেনারেল আমির আব্দুল্লাহ খান নিয়াজী আত্মসমর্পন করেন। এর মধ্য দিয়েই প্রতিষ্ঠিত হয় স্বাধীন, সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশ। প্রতি বছর এ দেশে ২৬ মার্চকে স্বাধীনতা দিবস এবং ১৬ ডিসেম্বরকে বিজয় দিবস হিসাবে উদযাপন করা হয়।

পাকিস্তান: পাকিস্তান ভারতীয় উপমহাদেশের একটি অংশ। জনসংখ্যার ভিত্তিতে পাকিস্তান বিশ্বের দ্বিতীয় মুসলিম দেশ। বর্তমান পাকিস্তান এলাকাটি ১৫২৬ থেকে ১৮শ শতক পর্যন্ত মুঘল সাম্রাজ্যের অংশ ছিল। ষোড়শ শতক থেকে বিভিন্ন ইউরোপীয় শক্তি ভারত উপমহাদেশে বাণিজ্যকুঠি স্থাপন করতে শুরু করে। পরবর্তীকালে আভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক গোলযোগের সুযোগ নিয়ে তারা এ অঞ্চলে উপনিবেশ স্থাপন করতেও সম হয়। ১৮৫৬ সালের মধ্যেই এ ভ’খন্ডসহ উপমহাদেশের অধিকাংশ অঞ্চল ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হস্তগত হয়। এরপর এটি ব্রিটিশ শাসনের অধীনে আসে। ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্টে এলাকাটি পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রের পশ্চিম অংশ হিসেবে স্বাধীনতা লাভ করে। দেশের অন্য অংশ পূর্ব পাকিস্তান পশ্চিম পাকিস্তান থেকে প্রায় ১৬০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ছিল। ১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তান বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং স্বাধীন গণপ্রজাতন্ত্রী রাষ্ট্র বাংলাদেশ গঠন করে।

ভারত: ষোড়শ শতক থেকে পর্তুগাল, নেদারল্যান্ডস, ফ্রান্স ও ব্রিটিশ যুক্তরাজ্যের মতো ইউরোপীয় শক্তিগুলি ভারতে বাণিজ্যকুঠি স্থাপন করতে শুরু করে। পরবর্তীকালে দেশের আভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক গোলযোগের সুযোগ নিয়ে তারা ভারতে উপনিবেশ স্থাপন করতেও সম হয়। ১৮৫৬ সালের মধ্যেই ভারতের অধিকাংশ অঞ্চল ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হস্তগত হয়। এর এক বছর পরেই ঘটে ভারতীয় সিপাহি ও দেশীয় রাজ্যগুলির সম্মিলিত এক জাতীয় গণ-অভ্যুত্থান। ভারতের ইতিহাসে এই ঘটনা প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ বা সিপাহি বিদ্রোহ নামে পরিচিত। এই বিদ্রোহ ব্যর্থ হলেও তা দেশে কোম্পানির শাসনের দুর্বলতার দিকগুলি উন্মোচিত করে দেয়। তাই ভারতকে আনা হয় ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের প্রত্য শাসনাধীনে।
বিংশ শতকে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ও অন্যান্য রাজনৈতিক সংগঠনগুলি দেশজুড়ে স্বাধীনতা আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটায়। ভারতীয় নেতা মহাত্মা গান্ধী অহিংস গণ-আইন অমান্য জাতীয় আন্দোলন শুরু করেন। স্বাধীনতা আন্দোলনের শেষ সময়ে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ও তাঁর আজাদ হিন্দ ফৌজের সংগ্রাম ভারতের ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ভারত ব্রিটিশ শাসনজাল থেকে মুক্ত হয়।

শ্রীলংকা: দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপ শ্রীলংকা ১৯৭২ সালের আগে সিলন নামে পরিচিত ছিলো। প্রাচীনকাল থেকেই শ্রীলঙ্কা একটি গুরুত্বপুর্ন সামুদ্রিক সৈকত ও বানিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে বনিকদের কাছে পরিচিত। ১৭৯৬ সালে দ্বীপটি ব্রিটিশ শাসনের অধীনে চলে যায়। ১৯৩০ সালের দিকে স্থানীয়দের প্রতি ব্রিটিশদের নির্যাতন-অত্যাচারের জন্য স্বাধীনতার আন্দোলন শুরু হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর স্বাধীনতার আন্দোলন জোরদার হতে থাকে। ১৯৪৮ সালের ৪ঠা ফেব্রুয়ারী সিলন নামে দেশটি স্বাধীনতা পায় যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে।

নেপাল: ধারণা করা হয় হিমালয়ান অঞ্চলে প্রায় ৯০০০ বছর ধরে মানুষের বসতি। ১০০০ খৃস্টপূর্বের দিকে এই অঞ্চলটিতে বিভিন্ন গোষ্ঠীর জন্য স্বতন্ত্র রাজ্য ও কনফেডারেশন গড়ে উঠে। এরকমই একটি কনফেডারেশন সাকিয়া। এর রাজা ছিলেন গৌতম বুদ্ধ। পরবর্তী সময়গুলোতে এ অঞ্চল মৌর্য, গুপ্ত, লিকচাভি, নেওয়ারি এবং চালুকাইয়া সাম্রাজ্যের অধীনে ছিলো। নেপাল একীভ’ত হয় ১৭৬৮ সালের ২১ ডিসেম্বর।

মালয়েশিয়া: মালয়েশিয়া ব্রিটিশ শাসনের অধীন ছিলো। ১৯৪৮ সালে ব্রিটিশ সরকার মালয়েশিয়াকে স্বায়ত্বশাসন দেবার ঘোষনা করলেও দ্বৈতচাপে বিলম্বিত হয় স্বাধীনতা অর্জন। একদিকে কমিউনিস্টদের সশস্ত্র সংগ্রাম অন্যদিকে স্বাধীনতার জন্য ইউএমএনও’র নেতৃত্বে দৃঢ় অবস্থান গ্রহন। তখন টানা ১২ বছরের কমিউনিষ্টদের সন্ত্রাসী আগ্রাসন ও সারাদেশে জরুরী অবস্থা জনজীবনে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করছিল। অবশেষে ১৯৫৬ সালের ৮ অক্টোবর লন্ডনে টুংকু আবদুর রহমান ও ব্রিটিশ কলুনিয়াল সেক্রেটারী এলান লেনক্সের মাঝে স্বাধীনতার ব্যাপারে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এতে উল্লেখ করা হয় ১৯৫৭ সালের ৩১ আগষ্ট মালয় ফেডারেশন তথা পশ্চিম মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, সাবাহ্, সারওয়াক ও ব্রুনাইয়ের একাংশ পূর্ন স্বায়ত্বশাসন লাভ করবে। সে চুক্তি অনুযায়ীই ১৯৫৭ সালের ৩১শে আগষ্ট মালয়েশিয়া ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে পূর্ন স্বাধীনতা লাভ করে। পরবর্তীতে অবশ্য নেতৃত্বের কোন্দলের কারনে লী কিউ উইনের নেতৃত্বে সিঙ্গাপুর পৃথক হয়ে ভিন্ন রাষ্ট্রে পরিনত হয়।

জাপান: বিশ্বের বুকে একটি প্রধান অর্থনৈতিক শক্তি জাপান। ৬৬০ খ্রিস্টপূর্বের ১১ ফেব্রুয়ারি জাপান জাতির প্রতিষ্ঠা হয়। তাই এ দিনটিকে তারা জাতীয় প্রতিষ্ঠা দিবস হিসাবে পালন করে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে সম্রাটরা রাষ্ট্রটিকে শাসন করে আসছে। জাপানীদের ধারণা তাদের সম্রাটগণ সূর্যদেবী আমাতেরাসুর বংশধর। দ্বিতীয় বিম্বযুদ্ধে পরাজয়ের পর ১৯৪৫ থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা সামরিকভাবে জাপান দখল করে এবং সংশোধিত সংবিধান অনুসারে সম্রাটকে আলংকারিক রাষ্ট্রপ্রধান বানানো হয়। পরবর্তীতে রাহুমুক্ত হয়ে বিশ্বের বুকে একটি প্রধান অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে জাপানের পুনরুত্থান ঘটে।

চীন: বলা যেতে পারে গণ প্রজাতন্ত্রী চীন হচ্ছে বর্তমান সময়ের একমাত্র সমাজতান্ত্রিক দেশ। খ্রীস্টপূর্ব একবিংশ শতাব্দি থেকে খ্রীস্টপূর্ব ষোড়ষ শতাব্দি পর্যন্ত প্রায় ৫০০ বছর চীনে সিয়া রাজবংশ স্থায়ী ছিলো। সিয়া-ই হলো চীনের ইতিহাসের প্রথম রাজবংশ। এরপর বিভিন্ন রাজবংশ চীনকে শাসন করে। গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠা পায় ১৯৪৯ সালের ১ অক্টোবর। সে কারণে এ দিনটিকে দেশটির জাতীয় দিবস হিসাবে পালন করা হয়।  ১৯৪৯ সালে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসাবে প্রতিষ্ঠার পর ১৯৫৪ সালে , ১৯৭৫ সালে , ১৯৭৮ সালে আর ১৯৮২ সালে মোট চারবার এর সংবিধান সংশোধন ও প্রকাশ করা হয়।

ইন্দোনেশিয়া: প্রায় ৫,০০০ দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত ইন্দোনেশিয়া পৃথিবীর বৃহত্তম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র। ২০শ শতকের প্রথম দশকে ইন্দোনেশীয়া স্বাধীনতা আন্দোলন শুরু হয়। দুই বিশ্বযুদ্ধের মধ্যবর্তী সময়ে তা ব্যাপক বিস্তার লাভ করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪২ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত তিন বছর জাপানিরা ইন্দোনেশিয়া দখল করে। দেশটি তখন নেদারল্যান্ডের অধীনে ছিলো। ১৯৪৫ সালের ১৭ই আগস্ট মিত্রশক্তির হাতে জাপানের আত্মসমর্পনের তিন দিন পর সুকর্ণ এবং মোহাম্মাদ আতার নেতৃত্বে একটি ুদ্র দল ইন্দোনেশিয়ার স্বাধীনতা ঘোষণা করে।

আফগানিস্তান: ১৭৪৭ সালে আহমদ শাহ দুররানি কান্দাহার শহরকে রাজধানী করে এখানে দুররানি সাম্রাজ্যের শুরু করেন। তখন থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তান একটি রাজতন্ত্র ছিল। এরই মাঝে দেশের রাজধানী কান্দাহার থেকে কাবুলে স্থানান্তরিত হয় এবং দেশটি প্রতিবেশি রাষ্ট্রগুলোর কাছে অনেক অঞ্চল হারায়। ১৯ শতকে আফগানিস্তান ব্রিটিশ ভারতীয় সাম্রাজ্য ও রুশ সাম্রাজ্যের মধ্যে এক বিরাট খেলার মধ্যবর্তী ক্রীড়নক রাষ্ট্রে পরিণত হয়। ১৯৭৩ সালে একটি সামরিক অভ্যুত্থানে সামরিক অফিসারেরা রাজার পতন ঘটান এবং একটি প্রজাতন্ত্র গঠন করেন। ১৯১৯ সালের ১৯ আগস্ট তৃতীয় ব্রিটিশ-আফগান যুদ্ধশেষে আফগানিস্তান যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করে।

উত্তর কোরিয়া এবং দক্ষিণ কোরিয়া: অবিভক্ত কোরিয়া মূলত জাপানিদের দখলে ছিল। ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হেরে যাবার সময় জাপানিরা সমাজতান্ত্রিক দেশ সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছে আত্মসমর্পণ করে। ফলে আদর্শগত কারণে অবিভক্ত কোরিয়া ২ ভাগে ভাগ হয়ে যায়। উত্তর কোরিয়া সমাজতান্ত্রিক দেশ সোভিয়েত ইউনিয়নের মতাদর্শে সমাজতান্ত্রিক ব্লকে চলে যায়, অন্যদিকে দণি কোরিয়া পুঁজিবাদি আমেরিকার মতাদর্শে পুঁজিবাদি ব্লকে যোগ দেয়। ১৯৪৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর উত্তর কোরিয়ার এবং ১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট দক্ষিণ কোরিয়ার স্বাধীনতা দিবস।

যুক্তরাষ্ট্র: আমেরিকার আদিম অধিবাসী রেড ইন্ডিয়ানরা সম্ভবত এশীয় বংশোদ্ভুত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে এরা কয়েক হাজার বছর ধরে বসবাস করছে। প্রাথমিক পর্যায়ে আটলান্টিক মহাসাগর তীরস্থ উত্তর আমেরিকার তেরোটি ব্রিটিশ উপনিবেশ নিয়ে গঠিত হযয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ১৭৭৬ সালের ৪ জুলাই এই উপনিবেশগুলি একটি স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র জারি করে। এর মাধ্যমে উপনিবেশগুলি তাঁদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার ঘোষণা করে এবং একটি সমবায় সংঘের প্রতিষ্ঠা করে। আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধে এই বিদ্রোহী রাজ্যগুলি গ্রেট ব্রিটেনকে পরাস্ত করে। এই যুদ্ধ ছিল ঔপনিবেশিকতার ইতিহাসে প্রথম সফল স্বাধীনতা যুদ্ধ। ১৭৮৭ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ক্যালিফোর্নিয়া কনভেনশন বর্তমান মার্কিন সংবিধানটি গ্রহণ করে। পরের বছর এই সংবিধান স্বারিত হলে যুক্তরাষ্ট্র একটি শক্তিশালী কেন্দ্রীয় সরকারসহ একক প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয়।

কানাডা: ১৮৬৭ সালের ১ জুলাই কানাডা স্বাধীনতা লাভ করে চারটি রাজ্য নিয়ে। এ রাজ্য চারটি হলো অনতারিও, কুইবেক, নোভা স্কটিয়া এবং নিউ ব্রান্সউইক।
১৫তম শতকের শুরুতে ইংরেজ এবং ফরাসি অভিযাত্রীরা আটলান্টিক উপকূল আবিষ্কার করে এবং পরে বসতি স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। ফ্রান্স দীর্ঘ সাত বছরের যুদ্ধে পরাজয়ের ফলস্বরূপ ১৭৬৩ সালে উত্তর আমেরিকায় তাদের সব উপনিবেস ইংরেজদের কাছে ছেডে দেয়। ১৮৬৭ সালের ১ জুলাই মৈত্রিতার মধ্য দিয়ে চারটি স্বায়ত্তশাসিত প্রদেশ নিয়ে দেশ হিসেবে কানাডা গঠন করা হয়। পরবর্তীতে ১৯৮২ সালে জারীকৃত কানাডা অ্যাক্ট অনুসারে দেশটি সংসদীয় গণতন্ত্র এবং আইনগত রাজ্যতন্ত্র উভয়ই মেনে চলে।

যুক্তরাজ্য: যুক্তরাজ্য আজন্ম একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। এ রাষ্ট্রের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জন করেছে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠী। বিংশ শতাব্দীর শুরুতে বিশ্বের এক চতুর্থাংশ এলাকা ও জনগণ ব্রিটিশদের নিয়ন্ত্রণে ছিলো। বর্তমানে এদের বেশিরভাগই স্বাধীন রাষ্ট্র হলেও অনেকগুলিই ব্রিটিশ আইন, প্রতিষ্ঠান এবং রীতিনীতি ধরে রেখেছে। এমনকি বিশ্বের যেসব এলাকা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অংশ ছিল না, সেখানেও অনেক দেশে ব্রিটিশ সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ব্রিটিশ সাম্রাজ্য ছিলো বিশ্বের ইতিহাসের বৃহত্তম সাম্রাজ্য। বর্তমান ভৌগোলিক কাঠামো নিয়ে মূল যুক্তরাজ্যের গঠন ১৭০৭ সালের ১ মে। আর ১৮০১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে আয়ারল্যান্ড দেশটির অন্তর্ভূক্ত হয়। যুক্তরাজ্য অনেকগুলো দ্বীপ নিয়ে গঠিত। দ্বীপগুলোকে একত্রে ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ নামে অভিহিত করা হয়। এছাড়াও বৃটিশ সাম্রাজ্যকালীন সময়ে দখলকৃত ১৪টি বাইরের এলাকা এখনও যুক্তরাজ্যের অধীনে রয়েছে।

রাশিয়া: ১৪শ ও ১৫শ শতকে একটি শক্তিশালী রুশ রাষ্ট্র গঠিত হতে থাকে মস্কোকে ঘিরে। রাশিয়া বিশ্বের বুকে একটি বিরাট শক্তি হিসাবে আবির্ভূত হয় সম্রাট পিটারের সময়। ১৯১৭ সালে রুশ বিপ্লবে বলশেভিকরা রুশ রাজবংশের পতন ঘটায়। ১৯২২ সালে বলশেভিকেরা বিশ্বের প্রথম সাম্যবাদী রাষ্ট্র সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠা করে। ১৯২২ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত রাশিয়া ছিল সোভিয়েত রাষ্ট্রকুঞ্জের সবচেয়ে বড় রাষ্ট্র। অনেকে সোভিয়েত ইউনিয়নকে রাশিয়া নামে চিনলেও মূলত রাশিয়া ছিল এর ১৫টি অংশের একটি। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে গেলে রাশিয়া মুক্ত বাজার ও গণতন্ত্রকে স্বাগত জানায়। ১৯৯০ সালের ১২ জুন রাশিয়ার নতুন ফরমেশন হওয়ায় এ দিনটিকে রাশিয়া দিবস হিসাবে উদযাপন করা হয়।

ফ্র্যান্স: বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো জাতি-রাষ্ট্রের মধ্যে একটি হলো ফ্র্যান্স। প্রাচীনকালে ফ্র্যান্স অঞ্চল কেল্টীয় গল নামে পরিচিত ছিল। প্রাচীন রোমানরা খ্রিস্টপূর্ব ১ম শতকে অঞ্চলটির দখল নেয় এবং খ্রিস্টীয় ৫ম শতকে রোমান সাম্রাজ্যের পতন হওয়ার আগ পর্যন্ত শাসন করে। পরবর্তীতে অনেকগুলি রাজবংশ ধারাবাহিকভাবে ফ্রান্স শাসন করে। ৮৪৩ সালে ভ্যরদাঁর চুক্তির মাধ্যমে ডিউক ও রাজপুত্রদের রাজ্যগুলি একত্রিত হয়ে একটিমাত্র শাসকের অধীনে এসে ফরাসি রাষ্ট্র গঠন করে। মধ্যযুগে রাজতন্ত্রের প্রভাব কমে এলেও ১৪শ থেকে ১৮শ শতক ধরে আবার এর উত্থান হয়। ১৭৮৯ সালে ফরাসি বিপ্লবে রাজতন্ত্রের পতন ঘটে এবং এর পর বহু দশক ধরে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলায় নিমজ্জিত হয়। বর্তমানে ফ্র্যান্স এর পঞ্চম প্রজাতন্ত্র পর্যায়ে রয়েছে। ১৯৫৮ সালের ২৮শে সেপ্টেম্বর এ প্রজাতন্ত্রের যাত্রা শুরু হয়।

জার্মানি: জার্মানি ১৬টি রাজ্য নিয়ে গঠিত একটি ফেডারেল ইউনিয়ন। ১৮৭১ সালের আগে এটি কোন একক রাষ্ট্র ছিল না। ১৮১৫ থেকে ১৮৬৭ পর্যন্ত জার্মানি একটি কনফেডারেসি এবং ১৮০৬ সালের আগে এটি অনেকগুলি স্বতন্ত্র রাজ্যের সমষ্টি ছিল। ১৯ শতকের শুরুতে ফ্র্যান্সের দখলদারিত্বের কারণে ১৮১৫ সালে প্রাশিয়ার নেতৃত্বে জার্মান রাষ্ট্রগুলি একটি কনফেডারেশন গঠন করে, যা ১৮৬৭ সাল পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। পরবর্তীতে ১৮৭১ সালের ১৮ জানুয়ারি রাষ্ট্রগুলো একত্রিত হয়ে জার্মান সাম্রাজ্য গঠন করে। ১৯৪০ এর দশকের শেষ দিকে জার্মানির সোভিয়েত নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলটি পূর্ব জার্মানিতে পরিণত হয়। পশ্চিম নিয়ন্ত্রিত বাকি তিন অঞ্চল একত্রিত হয়ে পশ্চিম জার্মানি গঠন করে। জার্মানির ঐতিহাসিক রাজধানী বার্লিন পূর্ব জার্মানির অনেক ভেতরে থাকলেও এটিকে দুই দেশ ভাগ করে নেয়। ১৯৬১ সালে পূর্ব জার্মানি সরকার বার্লিনে একটি প্রাচীর তুলে দেয়। পরবর্তীতে ১৯৮৯ সালে পূর্ব ও পশ্চিম বার্লিনের বাসিন্দারা বার্লিন প্রাচীর ভেঙে ফেলে। এই ঘটনাটিকে পূর্ব ইউরোপে সাম্যবাদের পতন ও জার্মানির পুনঃএকত্রীকরণের প্রতীক হিসেবে গণ্য করা হয়। আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে ১৯৯০ সালের ৩ অক্টোবর দুই জার্মানি একত্রিত হয়ে জার্মান ফেডারেল প্রজাতন্ত্র গঠন করে।

সৌদি আরব: মধ্যপ্রাচ্যের বৃহত্তম রাষ্ট্র সৌদি আরব। এখানে জন্মগ্রহণ করেছিলেন বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত হজরত মুহাম্মদ (সা.)। সৌদি আরবের বুকেই অবস্থিত পৃথিবীর কেন্দ্রবিন্দু পবিত্র ক্বাবা শরীফ। এ ভ’খন্ডটির সংস্কৃতি ও ইতিহাস দীর্ঘ। তবে বর্তমান রাষ্ট্র সৌদি আরব যে আয়তন নিয়ে গঠিত তা আলাদা রাষ্ট্র হিসাবে ঘোষিত হয় ১৯২৬ সালের ৮ জানুয়ারি। ১৯৩২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর এর একত্রিকরণ হয়। এদেশের শাসনকারী রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল আজিজ আল সাউদের নামানুসারে সৌদি আরব নামকরণ করা হয়েছে।

মিশর: নীল নদের দেশ মিশর প্রায় ৩২০০ খ্রিস্টপূর্ব থেকেই একটি সংহত রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে বিদ্যমান। ৬৪১ সাল থেকে দেশটি মুসলিম ও আরব বিশ্বের একটি অংশ। ১৮৮২ সালে ব্রিটিশ সেনারা মিশর দখল করার পর প্রায় ৪০ বছর এ ভ’খন্ড তাদের উপনিবেশ ছিল। ১৯২২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দেশটি একটি রাজতন্ত্র হিসেবে স্বাধীনতা অর্জন করে। কিন্তু তবুও ব্রিটিশ সৈন্যরা থেকে যায় মিশরে। ১৯৫২ সালের ২৩ জুলাই জামাল আবদেল নাসের-এর নেতৃত্বে একদল সামরিক অফিসার রাজতন্ত্র উৎখাত করে প্রজাতন্ত্র হিসেবে মিশর প্রতিষ্ঠা করে। সে কারণেই ২৩ জুলাইকে মিশরের জাতীয় দিবস হিসাবে উদযাপন করা হয়। মিশরকে প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করা হয় ১৯৫৩ সালের ১৮ জুন। নাসের ১৯৫৬ সালের মধ্যে দেশ থেকে সমস্ত ব্রিটিশ সেনাকে সরিয়ে দেন।

ব্রাজিল: ভ’-প্রাকৃতিক বৈচিত্রে পূর্ণ ব্রাজিল ১৫০০ থেকে ১৮২২ সাল পর্যন্তএকটি পর্তুগিজ উপনিবেশ ছিল। ১৮২২ সালের ৭ সেপ্টেম্বর দেশটি স্বাধীনতা অর্জন করে। দণি আমেরিকার অন্যান্য দেশগুলির তুলনায় অনেক শান্তিপূর্ণভাবে উপনিবেশ থেকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ব্রাজিলের উত্তরণ ঘটে। এসময় দেশে কোন রক্তপাত বা অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঘটেনি।



আলবেনিয়া: ১৯১২ সালের ২৮ নভেম্বর স্বাধীনতা অর্জন করে। আলবেনিয়ার স্বাধীনতা ছিলো দীর্ঘ ৫ শতকের অটোমান সাম্রাজ্যের সমাপ্তির একটি সতর্ক সংকেত।
আলজেরিয়া: ১৯৬২ সালের ৫ জুলাই স্বাধীনতা লাভ করে ফ্রান্সের কাছ থেকে।
অ্যান্ডোরা: ১৯৯৩ সালের ১৪ মার্চ স্বাধীনতা লাভ করে ফ্রান্স এবং স্পেনের কাছ থেকে।
অ্যাঙ্গোলা: ১৯৭৫ সালের ১১ নভেম্বর পর্তুগাল তার সাবেক উপনিবেশ ত্যাগ করে স্বাধীন করে দেয় অ্যাঙ্গোলাকে।
অ্যান্টিগুয়া ও বারবুদা: ১৯৮১ সালের ১ নভেম্বর যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
আর্জেন্টিনা: ১৮১৬ সালের ৯ জুলাই স্পেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
আর্মেনিয়া: ১৯৯১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
অস্ট্রিয়া: ১৯৫৫ সালের ১৫ মে যুক্তরাষ্ট্র, সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
আজারবাইজান: ১৯৯১ সালের ১৮ অক্টোবর সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
বাহামা: ১৯৭৩ সালের ১০ জুলাই যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
বাহরাইন: ১৯৭১ সালের ১৫ আগস্ট যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
বারবাদোস: ১৯৬৬ সালের ৩০ নভেম্বর যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
বেলারুস: ১৯৯১ সালের ২৭ জুলাই বেলারুশের আইনসভা সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে দেশটির সার্বভৌমত্ব ঘোষণা করে এবং ২৫ আগস্ট স্বাধীন হিসাবে স্বীকৃতি পায়।
বেলজিয়াম: ১৮৩০ সালের ৪ অক্টোবর স্বাধীনতা ঘোষিত হয়। আর স্বীকৃতি পায় ১৮৩৯ সালের ১৯ এপ্রিল।
বেলিজ: ১৯৮১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
বেনিন: ১৯৬০ সালের ১ আগস্ট ফ্রান্সের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
বলিভিয়া: ১৮২৫ সালের ৬ আগস্ট স্পেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
বসনিয়া ও হার্জেগোভেনিয়া: ১৯৯২ সালে ইউগোস্লাভিয়া থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
বোতসোয়ানা: ১৯৬৬ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
ব্রাজিল: ১৮২২ সালের ৭ সেপ্টেম্বর পর্তুগাল থেকে ব্রাজিলকে স্বতন্ত্র ও স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে ঘোষণা করেন পর্তুগালের রাজপুত্র ডম পেডরো। কিন্তু ১৮২৫ সালের ২৯ আগস্ট পর্যন্ত ব্রাজিলের কোন স্বতন্ত্র আইন ছিলোনা।
ব্রুনাই: ১৯৮৪ সালের ১ জানুয়ারি যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
বুলগেরিয়া: ১৯০৮ সালের ২২ সেপ্টেম্বর অটোমান সম্রাজ্য থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
বারকিনা ফ্যাঁসো: ১৯৬০ সালের ৫ আগস্ট ফ্রান্সের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
বুরুন্ডি: ১৯৬২ সালের ১ জুলাই বেলজিয়ামের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
ক্যাপভার্দে দ্বীপপুঞ্জ: ১৯৭৫ সালের ৫ জুলাই পর্তুগাল থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
চাদ: ১৯৬০ সালের ১১ আগস্ট ফ্রান্সের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
চিলি: ১৮১৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি স্পেন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
কলম্বিয়া: ১৮১০ সালের ২০ জুলাই এবং ৭ আগস্ট স্পেন থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে।
গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গো: ১৯৬০ সালের ৩০ জুন ফ্রান্সের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
কোষ্টারিকা: ১৮২১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর স্পেন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
ক্রোয়েশিয়া: ১৯৯১ সালের ৮ অক্টোবর ইউগোস্লাভিয়া থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
সাইপ্রাস: ১৯৬০ সালের ১৬ আগস্ট যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। কিন্তু ১ অক্টোবরকে স্বাধীনতা দিবস হিসাবে উদযাপন করা হয়।
চেক প্রজাতন্ত্র: ১৯১৮ সালের ২৮ অক্টোবর অস্ট্রিয়া ও হাঙ্গেরি থেকে স্বাধীনতা লাভ করে চেকোস্লোভাকিয়া। পরবর্তীতে ১৯৯৩ সালের ১ জানুয়ারি চেক প্রজাতন্ত্র ও স্লোভাকিয়া বিভক্ত হয়ে যায়।
ডোমেনিকান প্রজাতন্ত্র: ১৮৪৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি হাইতি থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
পশ্চিম তিমুর: ২০০২ সালের ২০ মে ইন্দোনেশিয়া থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
ইকুয়েডর: ১৮২২ সালের ২৪ মে স্পেন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
আল সালভাদোর: ১৮২১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর স্পেন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
ইরিত্রিয়া: ১৯৯৩ সালের ২৪ মে ইথিউপিয়া থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
এস্তোনেশিয়া: ১৯১৮ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি বলসেভিস্ট রাশিয়া থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
ফিনল্যান্ড: ১৯১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর রাশিয়া থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
গাম্বিয়া: ১৯১৮ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
জর্জিয়া: ১৯১৮ সালের ২৬ মে রাশিয়া থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
ঘানা: ১৯৫৭ সালের ৬ মার্চ যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
গ্রিস: ১৮২১ সালের ২৫ মার্চ অটোমান সাম্রাজ্য থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়।
গুয়াতেমালা: ১৮২১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর স্পেন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
গায়ানা: ১৯৬৬ সালের ২৬ মার্চ যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
হাইতি: ১৮০৪ সালের ১ জানুয়ারি ফ্রান্সের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
হুন্ডুরাস: ১৮২১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর স্পেন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
আইসল্যান্ড: ১৯৪৪ সালের ১৭ জুন ডেনমার্ক থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
ইন্দোনেশিয়া: ১৯৪৫ সালের ১৭ আগস্ট নেদারল্যান্ড থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। কিন্তু তা স্বীকৃতি পায় ১৯৪৯ সালের ২৭ ডিসেম্বর।
ইসরাইল: মধ্যপ্রাচ্যের এ সংস্থাটি ১৯৪৮ সালের ১৪ মে স্বাধীনতা ঘোষণা করে। যাকে বিশ্বের অনেক দেশ রাষ্ট্র বলে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং অনেক দেশ দেয়নি।
জ্যামাইকা: ১৯৬২ সালের ৬ আগস্ট যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
জর্ডান: ১৯৪৬ সালের ২৫ মে যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
কাজাকিস্তান: ১৯৯১ সালের ১৬ ডিসেম্বর সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
কেনিয়া: ১৯৬৩ সালের ১২ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীন হয়।
উত্তর কোরিয়া: ১৯৪৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর উত্তর কোরিয়ার স্বাধীনতা দিবস। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পূর্বে অবিভক্ত কোরিয়া ছিলো জাপানিদের দখলে।
দণি কোরিয়া: ১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট জাপান থেকে স্বাধীন হয়।
কুয়েত: ১৯৬১ সালের ২৬ জানুয়ারি যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে স্বাধীন হয়।
কিরগিজিস্তান: ১৯৯১ সালের ৩১ আগস্ট সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীন হয়।
লাতভিয়া: ১৯১৮ সালের ১৮ নভেম্বর রাশিয়া থেকে স্বাধীন হয়।
লেবানন: ১৯৪৩ সালের ২২ নভেম্বর ফ্রান্স থেকে স্বাধীন হয়।
লিসোথো: ১৯৬৬ সালের ৪ অক্টোবর যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে স্বাধীন হয়।
লাইবেরিয়া: ১৮৪৭ সালের ২৬ জুলাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে স্বাধীন হয়।
লিথুয়ানিয়া: রাশিয়া এবং জার্মানি থেকে স্বাধীনতা লাভ করে ১৯১৮ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে ১৯৯০ সালের ১১ মার্চ।
মাদাগাস্কার: ১৯৯০ সালের ২৬ জুন ফ্র্যান্স থেকে স্বাধীন হয়।
মালাউই: ১৯৬৪ সালের ৬ জুলাই যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে স্বাধীন হয়।
মালদ্বীপ: ১৯৬৫ সালের ২৬ জুলাই যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে স্বাধীন হয়।
মালি: ১৯৬০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ফ্র্যান্সের কাছ থেকে স্বাধীন হয়।
মাল্টা: ১৯৬৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে স্বাধীন হয়।
মরিশাস: ১৯৬৮ সালের ১২ মার্চ যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে স্বাধীন হয়।
ম্যাক্সিকো: স্পেন থেকে স্বাধীন হয় ১৮১০ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর। কিন্তু স্বাধীন দেশ হিসাবে পরিচিতি পায় ১৮২১ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর।
মালডোভা: ১৯৯১ সালের ২৭ আগস্ট সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীন হয়।
মঙ্গোলিয়া: চীন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে ১৯২১ সালের ১১ জুলাই।
মন্টিনিগ্রো: ২০০৬ সালের ২১ মে সার্বিয়া থেকে স্বাধীন হয়।
মরক্কো: ১৯৫৬ সালের ২ মার্চ স্পেন এবং ফ্রান্সের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
মোজাম্বিক: ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন পর্তুগাল থেকে স্বাধীন হয়।
মায়ানমার: ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
নামিবিয়া: ১৯৯০ সালের ২১ মার্চ দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে স্বাধীন হয়।
নিকারগুয়া: ১৮২১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর স্পেন থেকে স্বাধীন হয়।
নাইজার: ১৯৬০ সালের ৩ আগস্ট ফ্র্যান্স থেকে স্বাধীন হয়।
নাইজেরিয়া: ১৯৬০ সালের ১ অক্টোবর যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে স্বাধীন হয়।
নরওয়ে: ১৯০৫ সালের ১৭ মে সুইডেন থেকে স্বাধীন হয়।
পানামা: ১৮২১ সালের ২৮ নভেম্বর স্পেন থেকে স্বাধীন হয়।
পাপুয়া নিউ গিনি: ১৯৭৫ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর অস্ট্রেলিয়া থেকে স্বাধীন হয়।
প্যারাগুয়ে: ১৮১১ সালের ১৫ মে স্পেন থেকে স্বাধীন হয়।
পেরু: ১৮২১ সালের ২৮ জুলাই স্পেন থেকে স্বাধীন হয়।
ফিলিপাইন: ১৮৯৮ সালের ১২ জুন স্পেন থেকে স্বাধীন হয়। ১৯৪৬ সালের ৪ জুলাই যুক্তরাষ্ট্র থেকে স্বাধীনতার অনুমোদন দেয়া হয়। এ দিনটি ফিলিপাইনি আমেরিকান বন্ধুত্বের দিন হিসাবে পরিচিত।
পোল্যান্ড: প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির পর ১৯১৮ সালের ১১ নভেম্বর রাশিয়া, অস্ট্রিয়া ও প্রাশিয়ার কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে পোল্যান্ড।
পর্তুগাল: ১৬৪০ সালের ১ ডিসেম্বর স্পেন থেকে স্বাধীন হয়।
কাতার: ১৯৭১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে স্বাধীন হয়।
আয়ারল্যান্ড: ১৯২২ সালের ৬ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীন হয়।
মেসিডোনিয়া: ১৯৯১ সালের ৮ সেপ্টেম্বর ইউগোস্লাভিয়া থেকে স্বাধীন হয়।
রোমানিয়া: ১৮৭৭ সালের ৯ মে অটোমান সাম্রাজ্য থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
রুয়ান্ডা: ১৯৬২ সালের ১ জুলাই বেলজিয়াম থেকে স্বাধীন হয়।
সাঁউ টম অ্যান্ড প্রিন্সিপি: ১৯৭৫ সালের ১২ জুলাই পর্তুগাল থেকে স্বাধীন হয়।
সারবিয়া: ১৮০৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি অটোমান সাম্রাজ্যের বিপরীতে সারবিয়া প্রতিষ্ঠিত হয়।
সিসিলিস: ১৯৭৬ সালের ২৯ জুন যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে স্বাধীন হয়।
সিয়েরা লিওন: ১৯৬১ সালের ২৭ এপ্রিল যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে স্বাধীন হয়।
সিঙ্গাপুর: ১৯৬৫ সালের ৯ আগস্ট মালয়েশিয়া থেকে পৃথক হয়।
স্লোভাকিয়া: ১৯১৮ সালের ২৮ অক্টোবর অস্ট্রিয়া ও হাঙ্গেরি থেকে স্বাধীনতা লাভ করে চেকোস্লোভাকিয়া । ১৯৯৩ সালের ১ জানুয়ারি চেকোস্লোভাকিয়া চেক প্রজাতন্ত্র এবং স্লোভাকিয়ায় বিভক্ত হয়ে যায়।
স্লোভানিয়া: ১৯৯০ সালের ২৬ ডিসেম্বর ইউগোস্লাভিয়া থেকে স্বাধীন হয়।
দণি আফ্রিকা: ১৯৩১ সালের ১১ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে স্বাধীন হয়।
সুরিনাম: ১৯৭৫ সালের ২৫ নভেম্বর নেদারল্যান্ড থেকে স্বাধীন হয়।
সোয়াজিল্যান্ড: ১৯৬৮ সালের ৬ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে স্বাধীন হয়।
সুইজারল্যান্ড: ১২৯১ সালের ১ আগস্ট রোমান সাম্রাজ্যের বিপরীতে প্রতিষ্ঠিত হয়। আর ফেডারেল স্টেট হিসাবে প্রতিষ্ঠা পায় ১৮৪৮ সালের ১২ সেপ্টেম্বর।
তাজিকিস্তান: ১৯৯১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
তানজানিয়া: ১৯৬১ সালের ৯ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে স্বাধীন হয়।
ত্রিনিদাদ ও টোবাগো: ১৯৬২ সালের ৩১ আগস্ট যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে স্বাধীন হয়।
টোঙ্গা: ১৯৭০ সালের ৪ জুন যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে স্বাধীন হয়।
তিউনেশিয়া: ১৯৫৬ সালের ২০ মার্চ ২০ ফ্র্যান্স থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা লাভ করে।
ইউক্রেইন: ১৯৯১ সালের ২৪ আগস্ট সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
সংযুক্ত আবর আমিরাত: ১৯৭১ সালের ২ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে স্বাধীন হয়।
যুক্তরাষ্ট্র: ১৭৭৬ সালের ৪ জুলাই কিংডম অব গ্রেট ব্রিটেন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
উরুগুয়ে: ১৮২৫ সালের ২৫ আগস্ট ব্রাজিল থেকে স্বাধীন হয়।
উজবেকিস্তান: ১৯৯১ সালের ১ সেপ্টেম্বর সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীন হয়।
ভ্যাটিকান সিটি: ১৯২৯ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ইতালির সাথে লাতেরান চুক্তির অধীনে ভ্যাটিকান সিটি প্রতিষ্ঠিত হয়। বিশ্বের সবচেয়ে ুদ্রতম এই রাষ্ট্রটি রোম শহরের ভেতরে অবস্থিত স্বাধীন রাষ্ট্র।
ভেনিজয়েলা: ১৯৪৫ সালের ৫ জুলাই স্পেন থেকে স্বাধীন হয়।
ভিয়েতনাম: ১৯৪৫ সালের ২ সেপ্টেম্বর ফ্র্যান্স থেকে স্বাধীন হয়।
ইয়েমেন: ১৯৬৭ সালের ৩০ নভেম্বর যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে স্বাধীন হয়।
জাম্বিয়া: ১৯৬৪ সালের ২৪ অক্টোবর যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে স্বাধীন হয়।
জিম্বাবুয়ে: ১৯৮০ সালের ১৮ এপ্রিল যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে স্বাধীন হয়।