মঙ্গলবার, মার্চ ১৩, ২০১২

শত্রুতা করার সময় কই?



শাহ মুহাম্মদ মোশাহিদ
অবশেষে ৩০০তম সংখ্যায় পদার্পন করল থেরাপি। কিন্তু কিভাবে করল, এর পেছনে অনেক কাহিনী।
সব কথা প্রকাশ করতে চাই না। তাতে সোহেল অটলের (থেরাপির বিভাগীয় সম্পাদক) সাথে শত্রুতা বেড়ে যেতে পারে। হাজার হোক আমরা প্রতিবেশি। একে অপরের শত্রু হলেও পাশাপাশি দু’টি ডেস্কে বসি। প্রতিবেশির সাথে সদ্ভাব রাখা উচিত। না হয় যে কোন সময় নাশকতা ঘটতে পারে।
এবার নিশ্চয়ই বলবেন- সোহেল অটল এমন লোক নন।
মুখ দেখে কি লোক চেনা যায়? থেরাপির বিভাগীয় সম্পাদককে চিনতে হলে অবকাশের ২৫০তম এবং ৩০০তম সংখ্যা দুটি পড়তে হবে। আর যারা পুরনো সংখ্যা খোঁজাখুঁজির ঝক্কি নিতে রাজি নন, তাদের জন্য হালকাপাতলা বিবরণ দিচ্ছি-
আমরা দু’জন একই সাথে দু’টি ম্যগাজিনের দায়িত্ব পেলাম। কথা ছিল মিলেমিশে কাজ করব। কিন্তু কে রাখে কার কথা। শুরু হলো শত্রুতা।
কিভাবে শুরু হলো?
শুনুন তাহলে সে কথা- আমি শান্তশিস্ট ভদ্র লোক। নীরবে পড়ে থাকি অবকাশ নিয়ে। কৌতুহল হলে উঁকিঝুঁকি মারি থেরাপির ডেস্কে। মাঝে মাঝে টুকটাক নিন্দা করি। শত্রুতা করার সময় কই?
কিন্তু একদিন আমাকে নড়েচড়ে বসতেই হলো। খেয়াল করলাম, শাহাবুদ্দীন ভাই (আহমেদ শাহাবুদ্দীন, নয়া দিগন্ত’র ফিচার এডিটর) এর রহস্যজন আচরন। তিনি আমার হাতে ঘন ঘন নোটিশ ধরিয়ে দিচ্ছেন। নোটিশে লেখা থাকে ‘আগামি সপ্তাহে অনিবার্য কারনে অবকাশ বন্ধ থাকবে’ ধরনের কথা। অন্যদিকে থেরাপির সংখ্যাগুলো তরতর করে এগিয়ে যাচ্ছে। লোক দেখানোর জন্য সোহেল অটলকেও নোটিশ দিচ্ছেন, তবে আমার তুলনায় নিতান্তই কম।
ঘটনা কী! এর পেছনে নিশ্চয়-ই কারো হাত থাকতে পারে। লম্বা হাত। সন্দেহের তীর ছুটলো অটলের দিকে। শুধু সন্দেহই নয়, গোপন সূত্রে খবর পেলাম তিনি রীতিমত উঠেপড়ে লেগেছেন আমার বিরুদ্ধে। অবকাশের সংখ্যা বন্ধ রাখার জন্য যতরকম চেস্টা-তদবির প্রয়োজন সবই করছেন অটল।
পরের ঘটনা ঘুরে দাঁড়ানোর। মাঝে মাঝেই রান আউন হতে লাগলো থেরাপি। কখনো ক্রিজের অর্ধেকটা দৌড়ে, কখনো কাছাকাছি পৌঁছে। অন্যদিকে সোহেল অটলের চোখের সামনেই থেরাপির আগে ত্রিপল সেঞ্চুরি পূর্ণ করল অবকাশ। জয় হলো আমার।
কিভাবে ছিনিয়ে আনলাম জয়!
বিস্তারিত রণকৌশল ব্যখ্যা করা যাবে না। তবে এতটুকু বলে রাখি- দাবার ঘুঁটি পাল্টে গেলো নতুন মোটর সাইকেল কেনার পর। অর্থাৎ সোহেল অটল যেদিন ওই বাহনটি কিনলেন, সেদিন থেকেই উড়ে বেড়াচ্ছেন। এগজস্ট পাইপের ধোঁয়া ছেড়ে মনের আনন্দে চলাফেরা করছেন। আর আমি শাহাবুদ্দীন ভাই এর সাথে চা খাই। মাঝে মাঝে এক কাপের যায়গায় দুই কাপও খাওয়া হয়।

কোন মন্তব্য নেই: