দুলা: সুঁই কিনেছি ঢাকায় এসে
আগের চেয়ে সস্তাতে
নয়তো গাঁয়ের দোকান থেকে
কিনলে হতো পস্তাতে।
আলফা: ভাগ্য ভালো বুদ্ধি এঁটে
এসেই গেলাম ঢাকায় হেটে
চড়া দামে কিনলে তখন
কেমন হতো লস্ তাতে।
দুলা: গাঁয়ের বেটা জ্যন্ত ডাকাত
দাম হেঁকেছে আট আনা
তুই এগুলে গাল বরাবর
জোরসে দিতাম চাটকানা।
জিহ্বা টেনে সুঁই ফুটিয়ে
চড়া দামের সাধ চুটিয়ে
একটি কোপে কল্লা কেটে
ভরেই দিতাম বস্তাতে।
আলফা: এই আবারো পরলি পিছে
হাটার গতি শ্লথ নাকি?
জোর কদমে চলরে দুলা
আরো অনেক পথ বাকি।
আলসেমিটা দূরে ঠেলে
ক্লান্তি দেহের ছুঁড়ে ফেলে
এক নাগাড়ে পা চালিয়ে
পৌঁছতে হবে দশটাতে।
দুলা: সামনে যেতে পারছি না আর
বুকের ভেতর ফালপারে
আমার হাতের সুঁইটা তবে
রাখনা এখন আলফারে।
কিনছি ওটা শেয়ার করে
কিন্তু একা বেয়ার করে
ভেবেই দেখি ক্ষয় করেছি
নিজেই নিজের যশ তাতে।
আলফা: আমিই বহন করবো কেন
বিচার করে দেখনারে
তারচে ধরি দু মাথাতে
তুই-আমি চল একসারে।
উদাস করা গানের কলি
কণ্ঠ ছেড়ে আওড়ে চলি
চাঙ্গা হয়ে নতুন করে
লাগবে মনে রস তাতে।
দুলা: ভাবনাটা তোর মন্দনারে
কিন্তু ছোট সুঁইটাতে
কেমন করে ধরবো এখন
মস্ত এমন দুই হাতে!
কলাগাছে সুঁইটা গেঁথে
কাঁধে তুলে যেতে যেতে
নৃত্য করে ঘাড় উঁচিয়ে
গাছটি কলার ঘঁষ তাতে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন