
ঢেউয়ের চূড়ায় ভাঙলো আকাশ
রাঙলো ভুবন আলোয়
সেই আলোতে প্রথম সিনান
লাগলো কাঁপন ভালোয়।
লাগলো কাঁপন ঝলমলিয়ে
জন্ম নিলাম আমি
যাদের দিয়ে জন্ম আমার
সবচে তারা দামি।
এই প্রকৃতির প্রথম পড়া
দাদুর কাছেই শিখি
কদিন পরেই ভাইকে পেয়ে
স্বপ্ন কত লিখি
চলার পথে বন্ধু পেলাম
ছন্দ পেলাম তাতে
ভিত রচনার সাহস পেলাম
একটি কোমল হাতে
ঝিম কালো এক কাকের
কান ঝাঁঝালো ডাকের
শব্দ শুনে উল্টে গেলো
ছড়া লেখার ছন্দ।
কা-কা- করে সে যে
বলছে দ্বীগুণ তেজে
আমায় ভালো বাসবে বলো
নাহয় লেখা বন্ধ।
ঘর ভরালাম জোসনা দিয়ে
তবুও যখন ভাললাগে না
নাও ছোটালাম শুকনো গাঙ্গে
চলতে যেটার হাল লাগে না।
উল্টে দিলাম
পাল্টে নিলাম
আকাশ নদী
ঘাসের গদি।
এবার দেখো ঢেউয়ের চূড়ায়
আকাশ ভাঙে
নদীর বদল ভাসছে পানি
মেঘের চাঙে
সবুজ ঘাসের সবুজগুলো
উধাও হলো
বালির বুকে ঘাস গজালো,
কেমন বলো!
ভাবছো জাদুর চেরাগ হাতে
আমি বুঝি অবাক মানুষ!
ভয় পেয়ো না, বলছি শোন
এসব শুধুই কথার ফানুস।